কুড়িগ্রামের চিলমারী ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মাঝে তিস্তায় ধূধূ বালুচর। মাঝেমধ্যে দু'চারটে ফসলের ক্ষেত।
তিস্তায় হাঁটুজলে হেঁটেই পারাপার হচ্ছেন অনেকে। চলছে না ডিঙি নৌকা। নেই যানবাহন চলাচলের রাস্তা। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থায় এবার আশা জাগিয়েছে এই তিস্তা সেতু। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন তিস্তা সেতু এখন বাস্তবে রূপ পেয়েছে। তাই আগ্রহ আর খুশির সীমা নেই নদীর দু'পাড়ের মানুষের।
স্থানীয় একজন বলেন, 'আমাদের এ সেতু হয়ে গেলে হরিপুর, কাপাশিয়া, কুড়িগ্রাম, চিলমারির লোকের যাতায়াতে সুবিধা হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সাফল্য আসবে। এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে।'
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ অংশের হরিপুর থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুকে আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন উন্নয়ন কর্মীরা। এই সেতু চালু হলে চিলমারী, ভুরঙ্গামারী ও কুড়িগ্রামের সাথে রাজধানীর দূরত্ব কমবে ১৩৫ কিলোমিটার। যাতে পাল্টে যাবে অর্থনীতির চিত্র।
স্থানীয় একজন বলেন, 'এই সেতু হলে এ দুই অঞ্চলের চরভিত্তিক উৎপাদিত যে কৃষিপণ্য সেগুলো রাজধানীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বিক্রি করে কৃষকরা যেমন মুনাফা পাবে, তেমনি সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।'
গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম বাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন তিস্তা সেতুর অবকাঠামোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে অংশে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ। বর্তমানে চলছে সেতুর রং ও ফিনিশিংয়ের কাজ।
গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাবিউল ইসলাম বলেন, 'সকল স্প্যানের কাজই সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমরা শুধু ব্রিজের উপরে যে কার্পেটিংটা থাকে এটাই বাকি আছে। আমাদের ব্রিজের রেল পোস্ট বা বার যেটা রঙ করতে হয়, সেটা বাকি আছে। আমা করি এগুলো সব শেষ করে আমরা ২০২৫ এর জুনের মধ্যে সাধারণ জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারবো।'
৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তিস্তা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। সেতুটিতে বসানো হয়েছে ৩১টি স্প্যান।