কক্সবাজার–চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফাঁসিয়াখালী থেকে ডুলাহাজারা, মালুমঘাট হয়ে মেধাকচ্ছপিয়া পর্যন্ত সড়কের পুরোটায় ঘন গাছে ঘেরা। কোথাও নেই সড়কবাতি। সন্ধ্যা নামলেই এলাকায় ভর করে ডাকাতের ভয়। ডাকাতদের প্রধান লক্ষ্য থাকে ছোট যানবাহন। দিনের বেলায় তারা লুকিয়ে থাকে বনের ভেতর, আর সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত মহাসড়ক ও আশপাশের গ্রামে চালায় লুট, ছিনতাই ও হত্যাযজ্ঞ।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীর হাঁসেরদিঘি এলাকায় ডাকাতরা মহাসড়কের দুই পাশে রশি টেনে ফেলে দেয় চলন্ত মোটরসাইকেল আরোহীকে। এতে একজন নিহত ও আহত হন তিনজন। আর সবশেষ ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে ফাঁসিয়াখালীর লামা আলীকদম সড়কে ডাকাতের কবলে পড়ে জিপ গাড়ির যাত্রীরা।
গ্রামের বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা হলেই এখানে ডাকাতদের কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। দিনে দুপুরে ডাকাতির ঘটনায় শঙ্কিত গ্রামের বাসিন্দারা।
স্থানীয় চেয়ারম্যান জানান, রিজার্ভ পাড়া ও হাঁসের দীঘি এলাকায় কিছু ডাকাত, ছিনতাইকারী চক্রসহ ইয়াবাসেবীরাও জড়িয়ে পড়ছে অপরাধে। তাই নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে রাতে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
চকরিয়া ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দীন শিপু বলেন, ‘রেলস্টেশন এ জায়গায় বানানোর ফলে এলাকা আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। পুলিশের পাহারার ব্যবস্থা করার জন্য স্টেশন মাস্টারকে একটি আবেদন দেয়া হয়েছে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, ডাকাতি প্রতিরোধে সড়কে মাঝেমধ্যে বিশেষ টহল চালানো হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে থাকছে। ডাকাত চক্রে জড়িত রয়েছে কক্সবাজার ও পার্শ্ববর্তী বান্দরবানের লামার বাসিন্দারা।
র্যাব-১৫ এসআই ও টহল কমান্ডার পীযুষ সিংহা বলেন, ‘দুর্গম পাহাড়ি লাকা হওয়ায় এখানে প্রায় সময়ই ছিনতাই ডাকাতি হয়ে থাকে। আমরা র্যাব-১৫ নিয়মিত টহল ডিউটি করে যাচ্ছি।’
কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিটি ঘটনায় আমরা সিনসিয়ারলি পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে কাজ করেছি। যাত্রিরা যেন নিরাপদে চলাচল করতে পারে তাই আমাদের চেকপোস্ট, টহলের ব্যবস্থা নিয়মিত আছে।’
মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কক্সবাজারমুখী হাজারো পর্যটকও ঝুঁকিতে পড়বে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।





