শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সদর উপজেলার দালাল বাজার-পালেরহাট সড়কের কোরালিয়া খাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে সাড়ে ৯ টার দিকে স্থানীয় এক যুবক খালে টেটা দিয়ে মাছ শিকার করতে গিয়ে বাঁশ গাছের নিচে খালে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে।
নিহত ইউছুফ সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গৌপীনাথপুর গ্রামের হাবিব উল্যাহ হাজী বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় বাসিন্দা কাইয়ুম হোসেন বলেন, ‘আমি টেঁটা দিয়ে খালে মাছ শিকার করতে যাই। তখন ইউছুফ কাকার মরদেহ বাঁশ গাছের নিচে খালে পড়ে থাকতে দেখে সবাইকে খবর দেয়।’
নিহত ইউছুফের ছেলে মো. শাকিল বলেন, ‘বাবার সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে বাড়ির সামনে শেষ কথা হয়। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে এসে দেখি খালে তার মরদেহ পড়ে আছে। পা গামছা দিয়ে বাধা ছিল। এটি পরিকল্পিত হত্যা। আমাদের পারিবারিক জমি বণ্টন নিয়ে চাচাদের (নিহতের ভাই) সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। এছাড়া আর কারো সঙ্গে বাবার কোন বিরোধ নেই।’
নিহতের স্বজন সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘ইউছুফ আমার ভগ্নিপতি। তার নিখোঁজের বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। এখন তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভাইদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। আশা করছি প্রশাসন তদন্ত করে সঠিক বিষয়টি তুলে আনবেন।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রেজাউল হক বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’





