এছাড়া একই দিন পৃথক আরেকটি আবেদনের প্রেক্ষিতে তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যের আয়করের মূল নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। খুলনা কর অঞ্চলের ডেপুটি কমিশনার অব ট্যাক্সেস সার্কেল-৮ যশোরকে তার মূলনথি সংগ্রহের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদুকের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
স্বপন ভট্টাচার্য যশোর-৫(মনিরামপুর) আসনের দশম ও একাদশ সংসদের সংসদ সদস্য ছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর স্ত্রীসহ অস্ট্রেলিয়াতে তার মেয়ের কাছে বসবাস করছেন বলে জানিয়েছে দলীয় নেতাকর্মীরা।
আদালত সূত্র জানায়, গত ২৪ ডিসেম্বর সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য ও তার স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অর্জনের মামলা হয়। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, স্বপন ভট্টচার্য্যের স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যের সঙ্গে পরস্পর যোগসাজশে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৪৫ হাজার ৩৯১ টাকার সম্পদ অর্জন করেন।
এছাড়াও ১০টি ব্যাংক হিসাবে ১০ কোটি ৩৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮৩ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য গোপন করার জন্য রূপান্তর, হস্তান্তর ও স্থানান্তর করে দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য। এই মামলার তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা স্বপন ভট্টাচার্য্য ও তার স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানান। বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
এছাড়া একই দিন একই অভিযোগে আরও একটি মামলা করে দুদক। ওই মামলায় স্বপন ভট্টাচার্য্য ও তার স্ত্রী তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যকে আসামি করা হয়। এ মামলায় উল্লেখ করা হয়, দুই কোটি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার ১৫১ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে স্বপন ভট্টাচার্য্যের।
এছাড়া নিজের নামে ১৯টি ব্যাংক হিসাবে ৪১ কোটি ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৪ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক। দুর্নীতি ও ঘুষ নেওয়ার মাধ্যমে পাওয়া অর্থ গোপন করার উদ্দেশ্যে এর রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ কাজে তার স্ত্রী তাকে সহায়তা করেন। এ মামলায় তন্দ্রা ভট্টাচার্য্যের আয়করের মূল নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।