একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সেসময় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের আইনি সহায়তা দিতে চেয়েছিলেন ব্রিটিশ আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আইনজ্ঞ টবি ক্যাডম্যান। তবে তাকে আটকে দেয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
চলতি বছরের জুলাই আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে সংঘটিত মানবতা বিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিচার কাজ শুরু হয়েছে।
এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষকে আইনি সহায়তা দিতে আমন্ত্রণ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশে আসেন এই ব্রিটিশ আইনবিদ।
বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজের অগ্রগতি এবং তার অভিব্যক্তি জানাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন টবি ক্যাডম্যান। শুরুতেই ট্রাইব্যুনালের কাজে অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘ভারতের উচিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শেখ হাসিনার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া। তাকে আইন অনুযায়ী ফেরত আনারও সুযোগ রয়েছে।’
ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইনে বিচার কাজ স্বচ্ছভাবে করা যাবে। প্রয়োজনে আরো সংশোধনী আনা যাবে বলে মনে করে এই ব্রিটিশ আইনজ্ঞ।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ চলতে কোনো সমস্যা নেই। গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ভারতের উচিত বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল রেখে শেখ হাসিনার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া।’
টমি ক্যাডম্যান বলেন, ‘সংশোধিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য বিচার করা সম্ভব হবে। প্রয়োজন হলে আরো সংশোধনী আনতে হবে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বিচার কাজ ও মৃত্যুদণ্ড নিয়ে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে বিচার কাজ পরিচালনায় সহায়তা দেয়া হবে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত সব পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনেই হচ্ছে।’ তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও কাজ করেছেন।
এ সময় প্রধান প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আসামিপক্ষের আইনজীবীরা চাইলেও বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ দিতে পারবেন।’
জুলাই আগস্টের গণহত্যার মামলায় শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের সাবেক এমপি মন্ত্রীসহ অর্ধশতের বেশি নেতা, আমলা, সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।