আজ (সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মোখলেছুর রহমান এ রায় প্রদান করেন। রায় শুনানির সময় ২২জন আসামি আদালতে উপস্থিত থাকলেও চারজন পলাতক রয়েছে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শামসুর রহমান এবং আসামি পক্ষে আইনজীবী রফিকুল ইসলাম-১।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর সকালে জেলার মান্দা উপজেলার ভরট্ট শিবনগর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আজিম উদ্দিনকে (৫৫) প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা ও হাসুয়া নিয়ে হামলা চালায়।
এতে গুরুতর আহত হয়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এদিন দুপুর নিহতের ছেলে আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা তদন্ত শেষে ৩৪ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে বিচারের জন্য আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ইতিমধ্যে ওই মামলার ৮ জন আসামীর মৃত্যু হয়েছে।
দীর্ঘ শুনানি সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২ ও ৩৪ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় অবশিষ্ট ২৬ জন আসামীর বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মনছুর আলী, আলতাব হোসেন মণ্ডল, এনামুল হক, দেলোয়ার হোসেন, ফজের আলী, ফজলুর রহমান, কাদের আলী, জবেদ আলী, কাজেমুদ্দিন, অহিদুল ইসলাম (রহিদুল), আছিব উদ্দিন, আনিছার রহমান, মোখলেছুর রহমান, কাশেম আলী মণ্ডল, লিয়াকত আলী প্রামাণিক, মোখলেছুর রহমান, জালাল, মোজাফ্ফর আলী, শাহাজাহান, ছাইদুর রহমান, পৈক্যা (বুলু), আজাদ আলী মৃধা, আশরাফুল মৃধা, কলিমুদ্দিন মণ্ডল, পটল ওরফে পরশ উল্যা প্রামাণিখ এবং গুল মাসুদ ওরফে কালু।
এদের মধ্যে মোখলেছুর রহমান, এনামুল হক, আনিছুর রহমান ও মোজাহার পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুর রহমান বলেন, ‘১৯৯৮ সালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। দীর্ঘ ২৬ বছর পর ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায় বিচার পেয়েছে।’