আজ (রোববার, ৯ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর মো. আল কামাহ্ তমাল জরুরি পরিস্থিতিতে এ আদেশ জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শোডাউনকে ঘিরে দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান থেকে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়। পরিস্থিতি অবনতির সম্ভাবনা থাকায় রোববার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সাঘাটা উপজেলা ও সংলগ্ন এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা বলবত রাখা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) আলহাজ নাহিদুজ্জামান নিশাদ রবিবার দুপুরে মোটরসাইকেল শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে কর্মী-সমর্থকরা মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউনে অংশ নিতে আসছিলেন।
পথে ডাকবাংলা ও হাপানিয়া এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে তাদের আটকে মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. ফারুক আলম সরকারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
নিশাদ সমর্থকদের দাবি, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে শোডাউনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে তাদের ওপর হামলা করে বেদম মারধর করা হয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
তবে অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. ফারুক আলম সরকারের বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া সম্ভব হয়নি। সাঘাটা উপজেলা বিএনপির স্থানীয় কোনো নেতাও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে সাঘাটা উপজেলাসহ পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে ১৪৪ ধারা জারির পর বোনারপাড়া বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। সাঘাটা থানার ওসি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং টহল আরও জোরদার করা হয়েছে।





