সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের বিপণী বিথীতে ১৪টি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই ওষুধের দোকান। সম্প্রতি কলেজে দৃষ্টিনন্দন ফটক ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণে বিপণী বিথীর দোকানগুলো উচ্ছেদের দাবি তোলেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচিও পালন করেন তারা।
তবে ওষুধ ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারি সব নিয়ম মেনে বৈধভাবে মহিলা কলেজ বিপণী বিথীতে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তারা। হঠাৎ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ দোকান উচ্ছেদ করা হবে মর্মে নোটিশ দিয়েছে, যা অন্যায় ও অমানবিক। এর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলা শহরের সব ওষুধের দোকান বন্ধ ঘোষণা করেছে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি।
আরও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি নূর আলম বলেন, ‘কলেজ কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে আমাদের দোকান ভাড়া নেয়া বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে দোকান উচ্ছেদের আন্দোলন করাচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের এই আচরণ অমানবিক। বৈধভাবে আমরা দোকানগুলো পরিচালনা করছি। তারা এভাবে আমাদের উচ্ছেদ করতে পারে না। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে বিষয়টির সুরাহা না করলে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলতে থাকবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান চৌধুরী বলেন, ‘কলেজের সামনে দোকানপাট থাকার কারণে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও নানাভাবে হেনস্তার শিকার হয় বলে অভিযোগ করেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় দোকান উচ্ছেদ করে ফটক এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’





