যোগাযোগের সুবিধার্থে এক সময় নদীপথ ঘিরে গড়ে উঠেছে হাট, বাজার, বন্দর। আদিকাল থেকেই গ্রামীণ অর্থনীতির চালিকাশক্তি এ হাট-বাজারগুলো। তবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আধুনিকায়ন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার অভাব থাকায় কমছে ব্যবসার প্রসার।
বগুড়া জেলার পূর্ব অংশ দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদী পাড়ের নাড়ুয়ামালা, দুর্গাহাটা ও তরণিহাটের জৌলুস কমেছে। হাঁটুরেদের আগমন কমায় কমেছে বেচাকেনা, ধুঁকে ধুঁকে চলছে এক সময়ের বিখ্যাত এ হাটগুলো।
স্থানীয়রা জানান, হাটের অবকাঠামোগত অবস্থা ভালো নেই। বৃষ্টি হলে পানি জমে ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় হাট নির্ভর মানুষদের।
হাট-বাজার ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের আওতাধীন হাটগুলোতে ইজারার ১৫শতাংশ ব্যয় করার কথা। প্রয়োজন অনুযায়ী ২৫শতাংশ ব্যয় করতে পারবে হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি। পৌরসভা নিয়ন্ত্রিত হাটগুলোতে ইজারার ৪৫শতাংশ ব্যয় করার কথা। কিন্তু বগুড়া জেলায় এ বছর ইজারা দেয়া ১৮০টি হাটের বেশির ভাগ হাটেই নেই হাঁটুরেদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা।
আরও পড়ুন:
কোনো কোনো হাটে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ছাউনি নির্মাণ করা হয়নি। তাছাড়া প্রায় সব হাটেই জলাবদ্ধতার ভোগান্তি রয়েছে, সংস্কার করা হয় না ড্রেনেজ ব্যবস্থার। কোথাও কোথাও এখনো নির্মাণ করা হয়নি সৌচাগার, বসানো হয়নি নলকূপ। তাহলে হাটের উন্নয়নে যে অর্থ ব্যয় করার কথা সেসব যাচ্ছে কোথায়?—এমন প্রশ্ন তুলছেন কোটি কোটি টাকা রাজস্ব দেয়া ইজারাদাররা।
বগুড়া জেলায় উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা নিয়ন্ত্রিত হাটের সংখ্যা ২৪৫টি। এরমধ্যে ইজারা দেয়া হয়েছে ১৮০টি। বাকি হাট-বাজারগুলোতে খাস আদায় চলছে। গ্রামাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে এসব হাট-বাজারের উন্নয়নের বিকল্প নেই। ক্রেতা-বিক্রেতাদের স্বাচ্ছন্দ্যে ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী হাটের উন্নয়নের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সরকারের কর্মকর্তা।
বগুড়া স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মাসুম আলী বেগ বলেন, ‘পৌরসভার মধ্যে প্রতিটি হাট বাজার যতটুকু উন্নয়ন করার কথা প্রতিবছর ততোটুকু উন্নয়ন করা হয়।’
বগুড়া জেলায় এ বছর ইজারা দেয়া ১৮০টি হাটের মোট ইজারা মূল্য প্রায় ৪২ কোটি টাকা।





