পুড়ে গেছে মাথা গোঁজার ঠাঁই, হিংসার আগুনে আয়ের পথ হারিয়ে নিঃস্ব কেউ কেউ। সাজানো সংসার চোখের সামনেই ছাই হয়েছে। হতাশা, দুঃস্বপ্ন আর চোখের জলে পাহাড়ে সেদিনের সহিংসতার কথা তুলে ধরেন স্থানীয়রা।
গুইমারার সে বাজারে আগুনে পুড়েছে অর্ধশত দোকানপাট, বসতঘর, যানবাহন। সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি-বাঙালি সবাই—যারা যুগ যুগ একসঙ্গে থেকেছেন, ব্যবসা করেছেন। আগামী দিন কীভাবে কাটবে, কীভাবেই বা সাজাবেন সংসার?— সে ভাবনা সাধারণ পাহাড়িদের।
একই অবস্থা বাঙালিদেরও। বাজার, দোকানপাট, বসতঘর শুধু পোড়েনি, যেনো আগুনে পুড়েছে সম্প্রীতি, সৌহার্দ আর দীর্ঘদিনের ভালোবাসা। সে সম্প্রীতি কি আর কখনও জোড়া লাগবে? একসঙ্গে থাকলেই কি থাকা হবে পাশাপাশি, সে প্রশ্ন সবার।
প্রশ্ন হলো, প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরের একটি ধর্ষণের ঘটনায় কেন জ্বলে পুড়ে ছারখার গুইমারা? কেন নিঃস্ব হলেন নিরপরাধ এসব মানুষ? কেন খালি হলো মায়ের কোল? এটি কি পরিকল্পিত? সেদিনের ঘটনার দিকে তাকালেই এ প্রশ্নগুলোর উত্তর মেলে।
ড্রোন ফুটেজে দেখা যায়, বিক্ষুব্ধ একদল যুবককে, কেউ কেউ ছিলেন ভবনের ছাদে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আগুন আর ছিল মারমুখী পরিকল্পনাও। ঘরে-বাড়িতে আগুনও দেয়া হয় পরিকল্পিতভাবে। যদিও এখানে বসবাস করা কেউ সহজে বলতে চায় না এসব কথা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, এ ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে সুষ্ঠু বিচারের পরিবর্তে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় প্রকৃত জড়িতদের বিচার ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চান ক্ষতিগ্রস্তরা, চান সরকারি সহায়তা।





