ঈদুল আজহা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রস্তুত ১ লাখ ৩৫ হাজার পশু

খামারে গরু প্রস্তুত | ছবি: এখন টিভি
0

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে প্রস্তুত করা হয়েছে এক লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি পশু। আর পশু কেনাবেচায় এবার প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা বেচাবিক্রির আশা সংশ্লিষ্টদের। তবে অবৈধভাবে ভারতীয় গরু ঢোকা নিয়ে শঙ্কায় খামারিরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিলকেন্দুয়াই গ্রামের নবাব অ্যাগ্রো ফার্ম। ঈদ সামনে রেখে দেশি, শাহীওয়ালসহ বিভিন্ন জাতের গরু-মহিষ প্রস্তুতে ব্যস্ততা বেড়েছে শ্রমিকদের। একই চিত্র দেখা যায় জেলার প্রায় সব খামারেই।

চলতি বছর জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার খামারে পালন করা হচ্ছে দেশি, নেপালি ও ফ্রিজিয়ানসহ বিভিন্ন জাতের গরু ও মহিষ। একই সাথে রয়েছে ছাগল, ভেড়াও। তবে খামারগুলোতে কিছুটা সংকট রয়েছে ছোট গরুর।

খামারিরা বলছেন, পশুপালনে শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, পশুখাদ্যের দাম ও চিকিৎসা খরচ বিবেচনায় এবার পশুর দামও কিছুটা বেশি থাকবে। তবে সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় অবৈধভাবে ভারতীয় গরু আসা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা। এটি রোধ করা গেলে লাভবান হওয়ার আশা খামারিদের।

খামারিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘নেপালি গরু আছে, ষাঁড় আছে। এগুলোরই চাহিদা বেশি।’

অন্য একজন বলেন, ‘গতবছর যে গরু এক লাখ ৯৫ হাজার টাকায় কিনেছি, এবার সেটা কিনতে হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা দিয়ে। যদি ভারত থেকে গরু না আসে তাহলে আশা করি এবার ভালো লাভবান হতে পারবো।’

প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, গরু মোটাতাজা করতে কোনো ধরনের ক্ষতিকারক উপাদান ব্যবহার না করার জন্য খামারিদের সচেতন করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে ভারতীয় গরু প্রবেশ রোধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যদিও সীমান্তের অংশজুড়ে আছে। আমরা প্রশাসনের সাথে অলরেডি কথা বলেছি, সে হিসেবে আমরা খামারিদের আশ্বস্ত করতে চাই। ইনশাআল্লাহ এবার অবৈধভাবে গরু ঢুকবে না।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খামারগুলোতে কোরবানির জন্য এবার এক লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৫টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এ থেকে প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকার পশু কেনাবেচার আশা প্রাণিসম্পদ বিভাগের।

এসএস