একনজরে নতুন আবগারি শুল্ক (২০২৪-২৫)
- শুল্কমুক্ত সীমা: এখন থেকে ব্যাংক হিসাবে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত স্থিতি (Balance) থাকলে কোনো আবগারি শুল্ক দিতে হবে না। (আগে এটি ছিল ১ লাখ টাকা)।
- কখন কাটা হয়: জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর—বছরের যেকোনো সময় আপনার ব্যালেন্স যদি অন্তত একবার নির্ধারিত সীমা স্পর্শ করে, তবে ডিসেম্বর মাসের শেষে শুল্ক কাটা হয়।
- হিসাবের ধরন: সঞ্চয়ী, চলতি, এফডিআর (FDR) ও ডিপিএস (DPS) সব ধরনের অ্যাকাউন্টের ওপর এটি প্রযোজ্য।
আরও পড়ুন:
আবগারি শুল্ক (Excise Duty) কী? কেন এবং কাদের এই কর দিতে হয়?
ব্যাংক লেনদেন থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু সেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা প্রায়ই একটি শব্দের মুখোমুখি হই, তা হলো—আবগারি শুল্ক (Excise Duty)। অনেক গ্রাহকের মনেই প্রশ্ন জাগে, এই শুল্কটি আসলে কী এবং এটি কেন কাটা হয়?
আবগারি শুল্কের সহজ ব্যাখ্যা (Simple Definition)
আবগারি শুল্ক হলো এক ধরনের পরোক্ষ কর (Indirect Tax)। এটি কোনো ব্যক্তির আয় বা মুনাফার ওপর সরাসরি ধার্য করা হয় না; বরং নির্দিষ্ট কিছু পণ্য উৎপাদন, সেবা গ্রহণ বা আর্থিক কার্যক্রমের ওপর সরকার এটি আরোপ করে। উদাহরণস্বরূপ—ব্যাংকে টাকা রাখা, মোবাইল ফোনে কথা বলা কিংবা সিগারেট বা তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের ওপর এই শুল্ক বসে। এটি কোনো সুবিধা বা কার্যকলাপ ব্যবহারের মাশুল হিসেবে গণ্য হয়।
ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্কের নিয়ম (Rules for Bank Account)
ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য এই শুল্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন নিয়ম অনুযায়ী:
স্থিতির ওপর কর (Tax on Balance): আবগারি শুল্ক বসে আপনার ব্যাংক হিসাবের স্থিতি বা ব্যালেন্সের (Account Balance) ওপর।
৩ লাখ টাকার নিয়ম (3 Lakh Taka Rule): বছরে আপনার ব্যাংক হিসাবে যদি একবারের জন্যও স্থিতি ৩ লাখ টাকা (3 Lakh Taka) অতিক্রম করে, তবেই আপনাকে নির্দিষ্ট হারে আবগারি শুল্ক দিতে হবে।
সময়সীমা: সাধারণত জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর—এই সময়ের মধ্যে বছরের যেকোনো একদিন যদি আপনার অ্যাকাউন্টে ৩ লাখ টাকার বেশি জমা থাকে, তবে ব্যাংক আপনার কাছ থেকে শুল্ক কেটে সরকারি কোষাগারে জমা দেবে।
আরও পড়ুন:
কেন এই শুল্ক নেওয়া হয়? (Why is it collected?)
সরকার তার রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং বিলাসদ্রব্য বা নির্দিষ্ট কিছু সেবার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের জন্য আবগারি শুল্ক ধার্য করে। ব্যাংকিং খাতের ক্ষেত্রে এটি একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া, যা প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে কার্যকর হয়।
নতুন নিয়ম ও সীমা (New Rules and Limits):
এতদিন ব্যাংক হিসাবে বছরের যেকোনো সময় স্থিতি ১ লাখ টাকার (1 Lakh Taka) বেশি হলেই আবগারি শুল্ক কাটা হতো। তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নতুন বাজেট অনুযায়ী, এখন থেকে ব্যাংক হিসাবে ৩ লাখ টাকা (3 Lakh Taka) পর্যন্ত স্থিতি থাকলে কোনো আবগারি শুল্ক দিতে হবে না। অর্থাৎ, ৩ লাখ টাকার নিচে জমা থাকা টাকার ওপর কোনো শুল্ক প্রযোজ্য হবে না।
ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কত টাকা থাকলে কত শুল্ক? নতুন তালিকার পূর্ণাঙ্গ হিসাব
আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সারা বছরের যেকোনো সময় সর্বোচ্চ কত টাকা জমা ছিল, তার ওপর ভিত্তি করে এই শুল্কের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত স্থিতি থাকলে কোনো শুল্ক দিতে হবে না। তবে এর বেশি হলে কত টাকা কাটবে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা নিচে দেওয়া হলো।
ব্যাংক স্থিতির ভিত্তিতে আবগারি শুল্কের হার (Excise Duty Rates on Bank Balance)
আপনার অ্যাকাউন্টের স্থিতির ওপর ভিত্তি করে শুল্কের হারগুলো (Excise Duty Rates) হলো:
- ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত: কোনো শুল্ক নেই (No Duty)।
- ৩ লাখ ১ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত: ১৫০ টাকা।
- ৫ লাখ ১ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত: ৫০০ টাকা।
- ১০ লাখ ১ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত: ৩,০০০ টাকা।
- ৫০ লাখ ১ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত: ৫,০০০ টাকা।
- ১ কোটি ১ টাকা থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত: ১০,০০০ টাকা।
- ২ কোটি ১ টাকা থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত: ২০,০০০ টাকা।
- ৫ কোটি টাকার বেশি: ৫০,০০০ টাকা।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে আবগারি শুল্ক কীভাবে ও কখন কাটা হয়?
ব্যাংক সাধারণত বছরে একবার এই শুল্ক কেটে থাকে, যা মূলত সরকারি কোষাগারে জমা হয়। বছরের যেকোনো সময় (জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর) আপনার অ্যাকাউন্টের স্থিতি যদি নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে, তবেই ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে ব্যাংক এই টাকা কেটে নেয়। অনেক গ্রাহক একে ব্যাংক চার্জ (Bank Charges) মনে করলেও এটি মূলত সরকারি ট্যাক্স বা আবগারি শুল্ক।
আরও পড়ুন:
আবগারি শুল্ক কাটার নিয়ম (How Excise Duty is Deducted)
ব্যাংক শুল্ক কাটার ক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্টের সর্বোচ্চ স্থিতি (Peak Balance) বিবেচনা করে। নিয়মগুলো নিচে দেওয়া হলো:
১. একবার স্পর্শ করলেই কার্যকর: প্রতি বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আপনার ব্যাংক হিসাবে আমানত বা স্থিতির পরিমাণ যদি অন্তত একবারের জন্য ৩ লাখ টাকা বা তার ওপরের কোনো সীমা স্পর্শ করে, তবেই আপনার ওপর সেই হারে শুল্ক প্রযোজ্য হবে।
২. একাধিকবার বনাম একবার: আপনার অ্যাকাউন্টে ওই সীমা সারা বছরে একাধিকবার স্পর্শ করলেও শুল্ক কাটা হবে মাত্র একবার (Only Once a Year)।
৩. একাধিক অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে নিয়ম: একজন গ্রাহকের যদি একই ব্যাংকে বা ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংকে একাধিক অ্যাকাউন্ট থাকে এবং প্রতিটি অ্যাকাউন্টে শুল্ক আরোপযোগ্য ব্যালেন্স থাকে, তবে প্রতিটি হিসাব থেকেই আলাদাভাবে শুল্ক কাটা হবে।
উদাহরণ: আপনার কাছে মোট ৪ লাখ টাকা আছে এবং আপনি তা ৩টি আলাদা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রেখেছেন। যদি প্রতিটি অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স শুল্ক সীমার মধ্যে পড়ে, তবে তিনটি অ্যাকাউন্ট থেকেই ১৫০ টাকা করে মোট ৪৫০ টাকা আবগারি শুল্ক হিসেবে কাটা হবে।
কখন টাকা কাটা হয়? (When is the Money Deducted)
সাধারণত প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে (Last Working Day of December) ব্যাংকগুলো এই অর্থ কেটে নেয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বা কারিগরি কারণে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেও এই টাকা কাটা হতে পারে।
আরও পড়ুন:
সব ধরণের ব্যাংক হিসাব থেকেই কাটবে আবগারি শুল্ক; জানুন আপনার কোন হিসাবটি এই তালিকায়
ব্যাংক গ্রাহকদের অনেকেরই ধারণা, শুধুমাত্র সঞ্চয়ী হিসাব থেকেই বোধহয় সরকারি শুল্ক কাটা হয়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ধরণ যাই হোক না কেন, নির্দিষ্ট ব্যালেন্স অতিক্রম করলেই আবগারি শুল্ক (Excise Duty) প্রযোজ্য হবে। আপনি আপনার টাকা যে নামেই ব্যাংকে রাখেন না কেন, শুল্কের হাত থেকে রেহাই নেই।
কোন কোন হিসাব থেকে শুল্ক কাটা হয়? (Types of Accounts Subject to Duty):
মোটাদাগে সব ধরণের ব্যাংক হিসাব থেকেই আবগারি শুল্ক কাটা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
১. সঞ্চয়ী হিসাব (Savings Account): সাধারণ আমানতকারীদের জমানো টাকার ওপর।
২. চলতি হিসাব (Current Account): ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত চলতি হিসাবের ওপর।
৩. এফডিআর (Fixed Deposit Receipt - FDR): এককালীন মেয়াদি আমানত বা ফিক্সড ডিপোজিটের ওপর।
৪. ডিপিএস (Deposit Pension Scheme - DPS): মাসিক কিস্তিভিত্তিক সঞ্চয় প্রকল্পের জমানো টাকার ওপর।
৫. বেতনভিত্তিক হিসাব (Salary Account): চাকরিজীবীদের বেতনের অ্যাকাউন্টের ওপর।
ব্যাংক হিসাব থেকে কেন আবগারি শুল্ক নেওয়া হয়? ৫টি প্রধান কারণ
আবগারি শুল্ক (Excise Duty) কাটার পেছনে সরকারের সুনির্দিষ্ট কিছু অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক উদ্দেশ্য রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (National Board of Revenue - NBR) এই শুল্কের প্রধান নিয়ন্ত্রক হলেও গ্রাহকদের সুবিধার্থে ব্যাংকগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই টাকা কেটে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়।
আবগারি শুল্ক আরোপের উল্লেখযোগ্য কারণসমূহ (Key Reasons for Excise Duty):
১. রাজস্ব সংগ্রহের উৎস (Source of Revenue Collection): দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সরকারের বিপুল অর্থের প্রয়োজন হয়। আবগারি শুল্ক সরকারের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহের অন্যতম একটি বড় উৎস।
২. উচ্চ আয়ের করদাতাদের করজালে আনা (Taxing High Income Earners): ব্যাংক হিসাবে যাদের স্থিতি বেশি, তাঁদেরকে করের আওতায় আনাই এই শুল্কের একটি বড় লক্ষ্য। এর মাধ্যমে সম্পদশালীদের কাছ থেকে সরাসরি রাজস্ব নিশ্চিত করা যায়।
৩. আর্থিক শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা (Financial Discipline and Transparency): ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন এবং জমানো টাকার ওপর শুল্ক আরোপের ফলে আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে। এটি বড় অংকের লেনদেনগুলোকে সরকারি নজরদারিতে রাখতে সাহায্য করে।
৪. প্রশাসনিক ও করদাতার সুবিধা (Administrative and Taxpayer Convenience): অন্যান্য করের মতো এটি জমা দিতে করদাতাকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হয় না। ব্যাংক নিজেই হিসাব থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে (Automatically) এটি কেটে নেয় বলে প্রশাসনিক জটিলতা কমে এবং করদাতার সময় বাঁচে।
৫. আর্থিক নিয়ন্ত্রণ (Financial Regulation): নির্দিষ্ট সেবার ওপর শুল্ক আরোপের মাধ্যমে সরকার দেশের সামগ্রিক আর্থিক নীতি বা শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকলে আবগারি শুল্ক কীভাবে কাটে ব্যাংক? জেনে নিন নিয়মটি
বছরের শেষে আবগারি শুল্ক কাটার সময় যদি কোনো গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকে, তবে শুল্ক মাফ হয় না। বরং ব্যাংকগুলো সুনির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই পাওনা টাকা আদায় করে থাকে। অনেক গ্রাহক মনে করেন ব্যালেন্স শূন্য থাকলে বোধহয় শুল্ক দিতে হবে না, যা একটি ভুল ধারণা।
টাকা না থাকলে যেভাবে সমন্বয় করা হয় (Adjustment Process for Zero Balance):
১. অ্যাকাউন্ট মাইনাস বা নেতিবাচক হওয়া (Negative Balance): যদি আপনার অ্যাকাউন্টে শুল্ক কাটার মতো ব্যালেন্স না থাকে, তবে ব্যাংক আপনার অ্যাকাউন্টটিকে 'মাইনাস ব্যালেন্স' (Negative Balance) করে রাখবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার অ্যাকাউন্টে ১০ টাকা আছে কিন্তু শুল্ক কাটবে ১৫০ টাকা। সেক্ষেত্রে ব্যাংক ১৫০ টাকা কেটে নেবে এবং আপনার ব্যালেন্স দেখাবে 'মাইনাস ১৪০ টাকা'।
আরও পড়ুন:
২. পরবর্তী জমা থেকে কর্তন (Deduction from Next Deposit): ভবিষ্যতে আপনি যখনই ওই অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করবেন, ব্যাংক স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রথমে সেই মাইনাস হওয়া বা বকেয়া শুল্কের টাকা কেটে নেবে। বকেয়া শুল্ক পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত আপনি পুরো টাকা তুলতে পারবেন না।
৩. অন্য অ্যাকাউন্ট থেকে সমন্বয় (Adjustment from Other Accounts): একই ব্যাংকে যদি আপনার একাধিক অ্যাকাউন্ট (যেমন: অন্য একটি ডিপিএস বা সঞ্চয়ী হিসাব) থাকে, তবে ব্যাংক অনেক সময় প্রধান অ্যাকাউন্ট থেকে বকেয়া শুল্ক সমন্বয় করার অধিকার রাখে।
৪. অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার সময় (During Account Closure): আপনি যদি কোনো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চান, তবে ব্যাংক পূর্বের সকল বকেয়া আবগারি শুল্ক এবং অন্যান্য চার্জ বুঝে পাওয়ার পর তবেই অ্যাকাউন্টটি চূড়ান্তভাবে বন্ধ করার অনুমতি দেবে।
আরও পড়ুন:
আবগারি শুল্ক বনাম আয়কর (Excise Duty vs Income Tax)
পার্থক্যের বিষয় আবগারি শুল্ক (Excise Duty) আয়কর (Income Tax) করের ধরণ এটি একটি পরোক্ষ কর (Indirect Tax) এটি একটি প্রত্যক্ষ কর (Direct Tax) কিসের ওপর বসে? পণ্য উৎপাদন বা নির্দিষ্ট সেবার ব্যবহারের ওপর (যেমন: ব্যাংকে টাকা রাখা) একজন ব্যক্তির বার্ষিক আয় বা মুনাফার ওপর (যেমন: বেতন বা ব্যবসা) কখন দিতে হয়? ব্যাংক স্থিতির ক্ষেত্রে বছরে একবার নির্ধারিত সীমা স্পর্শ করলেই কাটা হয় বছরে একবার আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় দিতে হয় আদায়ের পদ্ধতি ব্যাংক বা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে (Automatically) কেটে নেয় করদাতাকে নিজে হিসাব করে সরকারি চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হয় পার্থক্যকারী বৈশিষ্ট্য "এটি আয়ের ওপর নির্ভর করে না, বরং আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স বা লেনদেনের ওপর নির্ভর করে।" এটি সরাসরি আপনার বার্ষিক উপার্জন বা লাভের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়
আরও পড়ুন:
ডিপিএস ও এফডিআর-এ আবগারি শুল্ক বনাম উৎসে কর (Difference Table)
পার্থক্যের বিষয় আবগারি শুল্ক (Excise Duty) উৎসে কর (Source Tax / AIT) কিসের ওপর বসে? আপনার অ্যাকাউন্টে জমা থাকা মোট স্থিতির (Total Balance) ওপর। আপনার জমানো টাকার ওপর অর্জিত মুনাফা বা সুদের (Profit/Interest) ওপর। কখন কাটা হয়? বছরে একবার (সাধারণত ডিসেম্বরে) আপনার ব্যালেন্স সীমা অতিক্রম করলে। ডিপিএস বা এফডিআর-এর মেয়াদ শেষে অথবা মুনাফা উত্তোলনের সময়। টিন (TIN) সার্টিফিকেটের প্রভাব "টিন (TIN) থাকলেও যা কাটবে, না থাকলেও একই কাটবে।" টিন (TIN) থাকলে মুনাফার ওপর ১০%, না থাকলে ১৫% কাটা হয়। করের ভিত্তি ৩ লাখ টাকার বেশি জমানো থাকলে নির্দিষ্ট স্ল্যাব অনুযায়ী কাটা হয়। "মুনাফার অংক যত টাকাই হোক না কেন, তার ওপর শতাংশ হিসেবে কাটা হয়।"





