১. টমেটো: কাঁচা সবজির মধ্যে স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক থেকে টমেটো অন্যতম। অনেকেই বেশি করে টমেটো কিনে তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। তবে সংরক্ষিত হলেও ফ্রিজে রাখার কারণে এ সবজির পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। টমেটো ফ্রিজে রাখলে এর কোষপ্রাচীর ভেঙে যায়, ফলে স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট হয়ে যায় এবং টমেটো নরম হয়ে যায়।
২. আলু: দেহে শর্করা সরবরাহের দিক থেকে আলু অন্যতম। আলুকে ঠান্ডা পরিবেশে রাখলে এর ভেতরের শ্বেতসার চিনিতে পরিণত হয়, যার ফলে আলুর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায় এবং রান্নার সময় এটি বাদামী বর্ণ ধারণ করে। এ কারণে আলু কেনার পর আলু শীতল, অন্ধকার এবং শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করা উচিত। ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।
৩. পেঁয়াজ: পেঁয়াজ দ্রুত পচনশীল। এ কারণে ফ্রিজে রাখলে নরম হয়ে যায় এবং দ্রুত পঁচেও যেতে পারে। পেঁয়াজ ও আলুকে একসঙ্গে রাখা উচিত নয়, তবে উভয়কেই শুষ্ক ও শীতল জায়গায় রাখা ভালো।
৪. রসুন: রসুন ফ্রিজে রাখলে তাতে অঙ্কুরোদগম হতে পারে, নরম হয়ে যেতে পারে এবং ছাঁচ পড়তে পারে। রসুন কক্ষ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করাই আদর্শ।
৫. কফি: কফি বিনস বা গুঁড়ো কফি ফ্রিজে রাখলে তা আর্দ্রতা ও অন্যান্য খাবারের গন্ধ শোষণ করে নেয়, যার ফলে কফির আসল স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। কফি সবসময় একটি বায়ুরোধী পাত্রে শুষ্ক ও শীতল স্থানে রাখা উচিত।
৬. পাউরুটি: পাউরুটির গায়ে ছত্রাক পড়ে যাওয়া আটকাতে অনেকেই প্যাকেটসহ তা ফ্রিজে রেখে দেন। ফ্রিজে যে কোনো খাবার রাখলেই তা শুকনো হয়ে যায়। পাউরুটি বা কেক জাতীয় খাবার ফ্রিজে রাখলে তা অতিরিক্ত শুকিয়ে যায়।
৭. মধু: গরমে মধুর শিশিতেও পিঁপড়ে হানা দিচ্ছে। সেই ভয়ে মধু যদি ফ্রিজে রেখে দেন, সে ক্ষেত্রে মধুর স্বাদ বদলে যেতে পারে। তার চেয়ে একটি বাটির মধ্যে জল দিয়ে তার মধ্যে মধুর শিশি বসিয়ে রাখতে পারেন।





