২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর। এর আগে আয়ারল্যান্ড সিরিজই ছিল এ ফরম্যাটে বাংলাদেশের শেষ সিরিজ। তাই আইরিশদের বিপক্ষে হওয়া তিনটি ম্যাচকে প্রস্তুতির উপলক্ষ হিসেবে নিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
প্রথম ম্যাচ হারলেও পরের দুটি জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিরিজ শেষে নিজেদের কোন দিক নিয়ে সন্তুষ্ট হয়েছেন সেটিও জানান লিটন।
লিটন কুমার দাস বলেন, ‘অনেক ইতিবাচক দিক আছে, স্বাভাবিকভাবে আমাদের এ দল এত ভালো ফিল্ডিং করে না কখনও, তবে আপনি যদি এ তিনটি ম্যাচ দেখেন, আমরা অনেক ব্রিলিয়ান্ট কয়েকটা ক্যাচ নিয়েছি। কমপক্ষে ফিল্ডিংয়ের দিক থেকে বলতে পারি যে, অনেকটা উন্নতি চোখে পড়েছে।’
চলতি বছর সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, জয়ও এসেছে বেশি। এ বছর খেলা ম্যাচগুলোর অভিজ্ঞতা থেকেই বিশ্বকাপের দল ঠিক করা হবে বলে আভাস লিটনের।
আরও পড়ুন:
লিটন বলেন, ‘আমরা এ একটা বছর অনেক চেষ্টা করেছি বেশ কিছু জায়গায়। আমাদের ১৫ থেকে ১৭ জন ক্রিকেটার নিয়ে একটা সার্কেল আছে, তারা প্রায় রেডি এ জায়গায় খেলার জন্য। একটা দল গঠনের জন্য যে জায়গাগুলোতে কাজ করা দরকার, আমরা সেখানে সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমরা অনেক রিস্ক নিয়েছি, অনেক জায়গা পূরণের চেষ্টাও করেছি।’
বিশ্বকাপের স্কোয়াড প্রায় চূড়ান্ত হলেও এখনই অন্যদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান লিটনের। আসন্ন বিপিএলে সেখানে দারুণ কিছু করতে পারলে যে কারও জন্য সুযোগ তৈরি হতে পারে বলেও জানান লিটন কুমার দাস।
অধিনায়ক লিটন বলেন, ‘সামনে বিপিএল আছে, সেটার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। বিপিএল একটা বড় লিগ, এখানে যদি কেউ অসাধারণ ক্রিকেট খেলে, অবশ্যই তার জন্য জায়গা আছে, কারণ পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই খেলোয়াড় বাছাই করা হবে। তবে আপনাকে এটাও বুঝতে হবে যে, যারা পারফর্ম করছে তাদের জন্য জায়গা ফাঁকা আছে কি না। কারণ যে খেলোয়াড়টা এরই মধ্যে ওই জায়গায় আছে, সে যদি ভালো করে, তাকে তো বাদ দেয়া যায় না।’
সিরিজ শুরুর আগে কাঙ্ক্ষিত স্কোয়াড না পাওয়ার দাবি করলেও সব মিলিয়ে সন্তুষ্টির কথাই জানিয়েছেন লিটন। বিশ্বকাপের জন্য যথার্থ প্রস্তুতি হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। আর তাই আসন্ন মেগা টুর্নামেন্টে ভালো করার বিষয়েও বেশ আশাবাদী এ টাইগার অধিনায়ক।




