ব্যালট পেপারের কাগজ সরবরাহে ব্যস্ত কেপিএম, জানুয়ারির মধ্যেই সম্পন্ন

ব্যালট পেপারের কাগজ তৈরি করা হচ্ছে
ব্যালট পেপারের কাগজ তৈরি করা হচ্ছে | ছবি: এখন টিভি
0

নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য ৯১৪ টন কাগজ কিনছে ইসি। এসব কাগজের বাজার মূল্য প্রায় ১১ কোটি টাকা। এরইমধ্যে কাগজ সরবরাহের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ কল রাঙামাটির কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড-কেপিএম কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়েছে চাহিদাপত্র। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাগজ সরবরাহ করতে পুরোদমে কাজ করছে মিল কর্তৃপক্ষ। আগামী জানুয়ারির মধ্যেই কয়েক ধাপে সরবরাহ সম্পন্ন হবে কাগজ।

দরজায় কড়া নাড়ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে দেশের ইতিহাসে বহুল কাঙ্ক্ষিত এ নির্বাচন। এরইমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস ঘোষণা দিয়েছেন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের।

নির্বাচনকে ঘিরে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোও নিতে শুরু করেছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এরইমধ্যে নির্বাচনের মূল উপকরণ ব্যালট পেপার প্রস্তুতের উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য ৯১৪ মেট্রিক টন কাগজ কিনছে নির্বাচন কমিশন। এরইমধ্যে কাগজ সরবরাহের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ কল রাঙামাটির কর্ণফুলী পেপার মিলস লিমিটেড-কেপিএম কর্তৃপক্ষের পাঠিয়েছে চাহিদাপত্র।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাগজ সরবরাহ করতে পুরোদমে কাজ করছে মিল কর্তৃপক্ষ। আগামীর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের জাতীয় এমন আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে পেরে উচ্ছ্বসিত মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা।

আরও পড়ুন:

শ্রমিক কর্মচারীরা জানান, এই ব্যালট পেপার দিয়ে যেকোনো নির্বাচনের আয়োজন করতে পারবে। এতে তাদের উৎপাদন বাড়বে পাশাপাশি কাজের গতিও বাড়বে। পূর্বের নির্বাচনেও তাদের এ পেপারগুলো ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান তারা।

এরইমধ্যে প্রথম ধাপে ১৭৮ মেট্রিক টন কাগজ সরবরাহ করা হয়েছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যেই কয়েক ধাপে সরবরাহ সম্পন্ন হবে অবশিষ্ট কাগজ- বলছে কেপিএম কর্তৃপক্ষ।

রাঙামাটি কর্ণফুলী পেপার মিলস ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘দুই প্রকারের কাগজ মিলে আমরা ৯১৪ টনের অর্ডার পেয়েছি। এরইমধ্যে আমরা ১৭৮ টনের মতো সরবারহ করেছি। বাকিগুলো আগামী জানুয়ারির মধ্যেই সরবারহ করার সব ধরনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।’

গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছাপাতে ৭০০ মেট্রিক টন কাগজ কেনে নির্বাচন কমিশন। তবে এবার প্রায় ৮০ লাখ ভোটার বেড়ে যাওয়ায় কাগজের চাহিদা বেড়েছে ২০০ টনের বেশি।

এফএস