গাজাবাসীর দুঃখ দুর্দশা যেন পিছু ছাড়ছে না। একদিকে ইসরাইলি বাহিনীর হামলা, অপরদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ-সবমিলিয়ে নাভিশ্বাস পরিস্থিতি ফিলিস্তিনিদের।
গত কয়েকদিন ধরেই ভারি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে গাজা সিটি, খান ইউনিসসহ উপত্যকাটির বিভিন্ন শহরে। এতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর। তবে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে তাবুতে থাকা ফিলিস্তিনিরা। ইসরাইলি বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে সর্বহারাদের এই তাঁবুও এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে।
আর নভেম্বরের এই বৃষ্টি জানান দিয়েছে শীতের। যা মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে লাখ লাখ গাজাবাসীর জন্য। একেতো মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু নেই। তারমধ্যে পায়ের নিচের বৃষ্টির পানি, সঙ্গে কনকনে শীত। না ঘুমিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে অনেককে।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘তাঁবুগুলো নিচু এলাকায়। তাই বৃষ্টির পানি সহজেই তাঁবুর ভেতরে ঢুকে যায়। পুরো ক্যাম্পের একই অবস্থা। এ অবস্থায় কীভাবে দিন কাটাবো বুঝতে পারছি না। বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। তবে এই বৃষ্টি আমাদের জন্য বিপদ ডেকে এনেছে। আমাদের বিছানাপত্র এবং শীতের জামা সব ভিজে গেছে। টানা দুইদিন ধরে দাঁড়িয়ে আছি। ঘুমানোর মতো জায়গা পাচ্ছি না।’
এ অবস্থায় বাস্তুহারা গাজাবাসীকে রোগ-শোক আঁকড়ে ধরতে পারে বলে শঙ্কা জাতিসংঘের। সংকট উত্তরণে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও শীতবস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরণের ত্রাণ পাঠিয়েছে বলে দাবি সংস্থাটির।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, বৃষ্টির কারণে গাজা উপত্যকার শত শত তাঁবুর ভেতরে পানি ঢুকে গেছে। আবহাওয়ার প্রতিকূলতার জন্য পরিবার নিয়ে হাজারো ফিলিস্তিনি কষ্ট করছে। কয়েকদিনের মধ্যে সেখানে অনেকে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
এ অবস্থার মধ্যেও গাজা ও অধ্যুষিত পশ্চিমতীরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। শনিবারও গাজাসিটি ও দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক অভিযান চালায় তারা। এতে নিহত হন বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী শনিবার আরও ১৫ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করে তেল আবিব। এতে করে গেলো ১০ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩০ জনকে মুক্তি দিলো তারা।





