নারী ক্রিকেটে ভাঙন-আস্থাহীনতার অবস্থা জানালেন ক্রিকেটার সুপ্তা

নিগার সুলতানা জ্যোতি, শারমিন আক্তার সুপ্তা, জাহানারা আলম
নিগার সুলতানা জ্যোতি, শারমিন আক্তার সুপ্তা, জাহানারা আলম | ছবি: এখন টিভি
0

পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আর ড্রেসিংরুমে দলীয়করণের অভিযোগ। দেশের নারী ক্রিকেট ব্যস্ত মাঠের বাইরের নানাবিধ বিতর্ক। জাতীয় দলের দুই অধিনায়কের মুখোমুখি অবস্থানের মাঝেই এখন টিভিকে ড্রেসিংরুমের অবস্থা জানিয়েছেন সিনিয়র ক্রিকেটার শারমিন সুপ্তা। আলাপ করেছেন নারী ক্রিকেটের সম্ভাবনা নিয়ে।

অস্থির এক সময় পার করছে দেশের নারী ক্রিকেট। মাঠে খেলা না থাকলেও মাঠের বাইরের চলছে মন্তব্যের ছোঁড়াছুড়ি। আছে গুঞ্জন, অভিযোগের পাহাড়। সমস্যার সমাধানে বিবৃতি দিয়ে ব্যস্ত হতে হয়েছে ক্রিকেট বোর্ডকেও। মুখ খুলেছেন নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিও।

অভিযোগের শুরু সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলমের এক সাক্ষাৎকার থেকে। যেখানে ড্রেসিংরুমে অধিনায়ক জ্যোতির স্বেচ্ছাচারিতা, দলীয়করণসহ একগুচ্ছ অভিযোগ করেছেন এ পেসার। ব্যাপক আকারের প্রতিক্রিয়ার পর ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য পক্ষ নিয়েছে ক্রিকেটারদের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিগার সুলতানা জ্যোতিও গুজব ছড়ানোর পালটা অভিযোগ জানিয়েছেন।

ড্রেসিংরুমের সিনিয়র সদস্য শারমিন আক্তার সুপ্তা অবশ্য এসব মন্তব্যকে একপাশেই সরিয়ে রাখছেন গুঞ্জন হিসেবে। ক্রিকেটারদের মধ্যে সম্পর্কগুলো স্বাভাবিক আছে বলেই জানালেন তিনি। দেখেননি বিভক্তির চিহ্ন।

আরও পড়ুন:

শারমিন আক্তার সুপ্তা বলেন, ‘আমি তো দেখছি যে সব ঠিকঠাক আছে। এখন একেকজনের চিন্তা ধারণা বা বলার ওয়ে আলাদা থাকতেই পারে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু আমি বলবো না যে, এমন কিছু হয়েছে যেটা নিয়ে খুব বেশি গুঞ্জন বা কোনো কিছু হয়েছে, সেটা আমার কাছে চোখে পড়েনি। আপাতত ড্রেসিংরুমে শেষ এক বছরে আমি আমারটা বলবো যে, আমি এক বছরে তেমন কিছু ফেস করিনি।’

সম্প্রতি শেষ হওয়া নারী বিশ্বকাপটায় খুব একটা সুসময় যায়নি বাংলাদেশের। ব্যাটিং ইউনিটের রানখরায় স্কোরবোর্ডে ছিল না বড় পুঁজি। লড়াই করেও হারতে হয়েছে একাধিক ম্যাচে। সুপ্তা অবশ্য বিশ্বাস করেন, বড় মঞ্চে সাফল্যের জন্য ভালো উইকেটে খেলা দরকার টাইগ্রেসদের।

শারমিন আক্তার সুপ্তা বলেন, ‘আমাদের উইকেটের স্বল্পতা আছে, এটা আমরা সবাই জানি। মাঠের স্বল্পতা আছে। বাইরে যেটা হয়, ওদের উইকেটগুলো রেস্ট পায়। আমাদের লিগগুলো চালানো কিন্তু বিসিবির জন্য আসলেই ডিফিকাল্ট হয়ে যায়। র‌্যানডম খেলা তাকার কারণে আমার কাছে মনে হয় উইকেটটা ভেরি করে। ভালো উইকেটে অনেক শর্টস খেলে অভ্যস্ত হলে তখন ওইসব উইকেটে গেলেও খুব সাবলিলভাবে শর্টস খেলতে পারা যাবে। এর সঙ্গে আমাদের স্কিলেরও একটা ল্যাকিংস আছে।’

পুরুষ ক্রিকেটের আগে এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছে নারী ক্রিকেটাররা। সামনের দিনগুলোতে নারী দলের জন্য বাড়ছে আন্তর্জাতিক ম্যাচের সংখ্যা। সুপ্তার বিশ্বাস, ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাটাই একদিন নারী ক্রিকেটে এনে দেবে বিশ্বকাপ জেতার স্বাদও।

এসএস