গত ১৪ বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ২১১১ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে: টিআইবি

ড. ইফতেখারুজ্জামান
ড. ইফতেখারুজ্জামান | ছবি: এখন টিভি
0

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিগত ১৪ বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় দুই হাজার ১১১ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে বলে জানিয়েছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থাটির কার্যালয়ে গবেষণা প্রতিবেদন অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নিজস্ব স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রী রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করতেন। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও সমন্বয়ের ঘাটতি কারণে ২০১৬ সালে বিশ্ব ব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক দ্বাতা সংস্থার ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড সহযোগিতা প্রত্যাহার করা হয়েছে বলেও গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

পরিবেশের উপর উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর নির্যাতন ও চরম অবহেলার শিকার বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আগে থেকেই দুর্যোগপ্রবণ এই অঞ্চল এখন আরও ঝুঁকিতে।

পরিবেশগত পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রতিবছর ১২ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দরকার। কিন্তু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক তহবিলের মাধ্যমে ২০১৫ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বছরে গড়ে ৮২ দশমিক দুই মিলিয়ন ডলার অর্থ পাওয়া গেছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই নগণ্য।

আরও পড়ুন:

এ পরিমাণ বরাদ্দেও বাংলাদেশে গত ১৪ বছরে হয়েছে মহাদুর্নীতি। মোট বরাদ্দের ৫৪ শতাংশ হয়েছে লুটপাট। অভিঘাত মোকাবিলায় আনা প্রকল্প অনুমোদনে ঘুষ বাণিজ্যের পরিমাণ ১৭৫ কোটি টাকা, যোগসাজশ, ঠিকাদার ও সাবকন্ট্রাক্টের দুর্নীতি হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা, প্রকল্প পর্যায়ে অর্থ আত্মসাৎ ১,২৮১ কোটি টাকা, পরিবিক্ষন কর্মকর্তারা ঘুষ বাবদ ৫৪ দশমিক ৪ কোটি টাকা লুটপাট করেছেন বলে জানিয়েছে টিআইবি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে লুট করা হয়েছে এসব বরাদ্দ। ফলে অভিঘাতে আক্রান্ত মানুষ হয়েছেন বঞ্চিত।’

তাই এ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান ঢেলে সাজানো, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো ও সুষ্ঠুভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের তাগিদ টিআইবির।

এসএস