তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা ঋতুপর্ণা, রিপাদের পরপর দুবার দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরার পথটা মোটেও মসৃণ ছিলোনা। এরপর, এশিয়া মহাদেশের সর্বোচ্চ আসরে নাম লিখিয়ে ইতিহাস গড়ে মেয়েরা। এতে বাংলাদেশ নিয়ে রীতিমত তোলপাড় সৃষ্টি হয় বিশ্ব ফুটবলে।
তবে আফসোস! এতকিছুর পরও নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রায় পাশে নেই বসুন্ধরা কিংসসহ মোহামেডান, ঢাকা আবাহনীর মতো দেশের ঐহিত্যবাহী ক্লাবগুলো। ২০২১-২২ মৌসুমের পর এ আসরে আর দেখা যায়নি কিংসের নাম। আর আবাহনী-মোহামেডানের খোঁজ করতে হলে যেতে হবে এক দশক পেছনে।
চলতি বছরের শেষের দিকে নারী ফুটবল লিগ আয়োজনে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে বাফুফে। এরই ধারাবাহিকতায় ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নারী ফুটবল লিগের ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য দুবার সময়ে বাড়ালেও সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ ফুটবল লিগ-বিএফলে নিয়মিত অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলো। তবে বাফুফের সঙ্গে নারী ফুটবলারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বনিবনা না হওয়ায় আগ্রহ দেখায়নি দেশের জায়ান্ট ক্লাবগুলো।
আরও পড়ুন:
ঢাকা আবাহনী ক্লাব ম্যানেজার সত্যজিত দাস রুপু বলেন, ‘ফেডারেশনের সভাপতি যদি আমন্ত্রণ জানিয়ে অনুরোধ করে অংশগ্রহণের জন্য, সেটা হয়তো অনেক ক্লাবেই বিবেচনা করা হবে। আগামীতে টিমগুলোতে সেভাবে অংশগ্রহণ থাকতেও পারে।’
বসুন্ধরা কিংস সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘সুপারিশমালা যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে নারী লিগে না খেলার কোনো কারণ নেই। আমরা যদি নারী লিগে অংশগ্রহণ করে থাকি তাহলে অবশ্যই একটি শক্তিশালী দল গঠন করতে পারব।’
এদিকে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের এক বছরের বেশি সময় পার হলেও অভ্যন্তরীণ জটিলতা কাটিয়ে উঠতে পারছে না মোহামেডান, ধানমন্ডি স্পোর্টসর মতো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলো। তবে এমন পরিস্থিতিতেও ছেলেদের খেলার সুযোগ মিললেও অবহেলিত নারী ফুটবলাররা।
নারী খেলোয়াররা জানান, তারা দেখেছেন আবাহনীতে নারীদের তেমন সুযোগ দেয়া হয়নি। ছেলেদের জন্যই তাদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা রেখেছে। নারীদের জন্য এমন ব্যবস্থা চালু করলে তারা খেলার জন্য আগ্রহী।
ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, ‘ফুটবলকে আমরা এখনো গোছাতে পারি নাই। তবে আমাদের পরিকল্পনায় আছে, খুব শীঘ্রই আমরা নরী ফুটবল অ্যাকাডেমি চালু করব। বাফুফের কিছু জটিলতা আছে এগুলো কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাফুফে এবং অদৃশ্য কারণে বড় ক্লাবগুলো এভাবে দিনদিন নারী ফুটবল লীগে অংশগ্রহণে আগ্রহ হারালে, অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে ভালো খেলোয়াড় তৈরির সম্ভাবনা। পাশাপাশি আর্থিক সংকটে থাকা নারী ফুটবলাররাও বঞ্চিত হবে বিশাল অঙ্কের অর্থ উপার্জনে।




