একের পর এক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে যাচ্ছে ইসরাইল। হামাস নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি না দেয়ায় মঙ্গলবার রাফাহ সীমান্ত না খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানালেও, বুধবার সেখান থেকে সরে আসে তেল-আবিব। ইসরাইলি সম্প্রচার মাধ্যম কান জানায়, রাফাহ ক্রসিং খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরাইল। এতে করে গাজায় প্রবেশ করবে প্রায় ৬০০ টি ট্রাক। আর প্রথমবারের মতো গাজা ছেড়ে যাওয়ারা পাচ্ছেন উপত্যকাটিতে প্রবেশের অনুমতি।
আরও পড়ুন:
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ অনুযায়ী, মঙ্গলবার চার ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করছে হামাস। রেডক্রসের মাধ্যমে মরদেহগুলো গ্রহণ করেছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত আটটি মরদেহ তেল-আবিবে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব মরদেহ হস্তান্তর করতে না পারায় নাখোশ ইসরাইল। দেশটির সেনাবাহিনীর ইতোমধ্যে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। কিন্তু হামাসের দাবি, ধ্বংসস্তূপ থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধারে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে, হামাস অস্ত্র ত্যাগ না করলে তাদেরকে বাধ্য করা হবে হোয়াইট হাউসে এমন হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যদি তারা অস্ত্র ত্যাগ না করে, আমরা তাদের নিরস্ত্র করব। এটি খুব দ্রুত হবে। সহিংসতার মধ্য দিয়ে হলেও এটি করব। আমি হামাসের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা অস্ত্র ত্যাগ করতে চেয়েছে।
এদিকে, টেলিভিশনের দেয়া সাক্ষাৎকারে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ দিয়ে। তার প্রত্যাশা, এই ধাপে শান্তিপূর্ণভাবে অস্ত্র সমর্পণ করবে হামাস। আর এটি না হলে গাজায় স্থায়ীভাবে শান্তি নিশ্চিত হওয়া বাঁধার মুখে পড়বে ইঙ্গিত দিয়েছেন নেতানিয়াহু।





