গাজায় যুদ্ধবিরতির পর স্বস্তি, পুনর্গঠনে আগ্রহী ইউরোপ-আমেরিকাসহ আরব রাষ্ট্রগুলো

ঘরে ফিরছে ফিলিস্তিনের মানুষ
ঘরে ফিরছে ফিলিস্তিনের মানুষ | ছবি: সংগৃহীত
0

মিশরে শান্তি সম্মেলনে গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর স্বাভাবিক হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের জনজীবন। স্থল সীমান্তের পাশাপাশি সমুদ্র পথেও গাজাবাসীর জন্য আসছে ত্রাণ সহায়তা। এদিকে, পরিষ্কার করা হচ্ছে ধ্বংসাবশেষ। উপত্যকায় চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার আশায় আছেন গাজাবাসী। গাজার পুননির্মাণে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ আরব রাষ্ট্রগুলো।

যুদ্ধ আপাতত বন্ধ হলেও, থামেনি ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম। দুই বছরের যুদ্ধে লণ্ডভণ্ড গোটা গাজা উপত্যকা। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এরইমধ্যে ধ্বংসাবশেষ অপসারণে কাজ করছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সহায়তা সংস্থাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে অসংখ্য অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ অপসারণের কাজকে ফেলেছে ঝুঁকিতে। ধ্বংসাবশেষের নিচে প্রায়ই মিলছে মরদেহ।

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির তথ্য মতে যুদ্ধে গাজায় সাড়ে ৫ কোটি টন ধ্বংসস্তূপ তৈরি হয়েছে। এগুলো পরিষ্কার করে গোটা উপত্যকা পুননির্মাণে সময় লাগতে পারে কয়েক দশক। আর এতে প্রয়োজন হবে প্রায় ৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। ইউরোপ ও আরব রাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এমন অবস্থায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে গাজাবাসী। ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই নতুন করে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখছে তারা। গাজা উপত্যকায় স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে এমনটাই প্রত্যাশা ফিলিস্তিনিদের।

আরও পড়ুন:

ফিলিস্তিনের বাসিন্দারা বলেন, ‘গাজার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে যেকোনো পদক্ষেপের পক্ষেই আমরা আছি। ছোট আশার মধ্যেও আমরা স্বপ্ন দেখছি। মিশরের শান্তি আলোচনায় গাজাবাসীর জন্য তেমন কোনো বার্তা নেই। সবাই ইসরাইলকে রক্ষায় ব্যস্ত। পশ্চিম থেকে পূর্ব যুদ্ধবিরতি কার্যকরে যারা অংশ নিয়েছে তাদের সবার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। মানুষ এখন নিঃশ্বাস নিতে পারছে। তাদের নিজ বাড়িতে ফিরছে।’

গাজা শহরের বাসিন্দাদের জন্য বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। যুদ্ধের সময় বোমার হাত থেকে রক্ষার জন্য বিশুদ্ধিকরণ পানির প্ল্যান্টটি সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। যুদ্ধ বিরতি কার্যকরের পর তা পুনর্নির্মাণ করা হয়।

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর গাজার রাস্তায় মুক্ত ও স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাসিন্দারা। খান ইউনিসসহ বিভিন্ন শহরে বেড়েছে মানুষের কর্মব্যস্ততা। লোকজনের সমাগম দেখা যাচ্ছে স্থানীয় বাজারগুলোতে। গাজার অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে একের পর এক ত্রাণবাহী ট্রাক।

শুধু স্থল সীমান্ত দিয়ে নয়, সাগর পথেও এখন গাজাবাসীর জন্য আসছে খাদ্য সহায়তা। একটি জাহাজে করে শিশুখাদ্য ও প্যাকেটজাত পণ্যের ৯০০ টন খাবার পাঠিয়েছে তুরস্ক। আকদেনিজ নামের জাহাজটি মিশরের আল-আরিশ বন্দরের দিকে রওনা হয়েছে।

ইএ