স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাস্থলের মাত্র ১০ ফুট দূরে থাকলেও ধাওয়া দেয়নি। এতে স্থানীয়রা বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বাড়ির নববর মো. আরিফুল ইসলাম ও তার বড় ভাই মো. আলমগীর জানান, আনোয়ারার জয়কালী বাজারের তাহিন কনভেনশন সেন্টারে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে তারা রাত দেড়টার দিকে বাড়িতে ফেরেন। কিছুক্ষণ পরই ‘ডিবি পুলিশ’ পরিচয়ে সাদা-আকাশি পোশাক পরা ৮ জন অস্ত্র হাতে তল্লাশির কথা বলে ঘরে ঢোকে।
তিনি জানান, তারা নারী–পুরুষ সবাইকে অস্ত্রের মুখে কক্ষে আটকে রেখে আলমারি ও লকার ভেঙে প্রায় ১১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, দুই লাখ টাকা ও দুটি স্মার্টফোন লুট করে নেয়।
ঘটনার সময় পুলিশ আমাদের বাড়ির কাছেই ছিল উল্লেখ করে আলমগীর বলেন, ‘ডাকাতদের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থায়ও তারা কিছু করেনি। ডাকাতরা অস্ত্র তাক করলে পুলিশ পিছিয়ে যায়। পরে আমরা নিজেরাই প্রাইভেট কারে তাদের পিছু নিই, কিন্তু তারা শান্তিরহাট হয়ে পালিয়ে যায়।’
এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ ও তার টিমের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন:
এছাড়া ডাকাতদের কয়েকজন আগে থেকেই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করলে সাদা গেঞ্জি ও জিন্স প্যান্ট পরা ওই ব্যক্তিদের শনাক্ত করা সম্ভব হতে পারে বলেও মনে করছেন তারা।
জানা যায়, এ ঘটনার ভুক্তবোগী বর আরিফুল ইসলাম ইসলামী ব্যাংক পিএলসিতে কর্মরত, আর বড় ভাই আলমগীর কাতার প্রবাসী।
ঘটনার রাতে পুলিশ তেমন সক্রিয় না থাকলেও গতকাল (শনিবার, ১২ অক্টোবর) দুপুরে কর্ণফুলী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী ও ওসি মুহাম্মদ শরীফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এসি মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আইনি দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডাকাতদের ফেলে যাওয়া একটি দেশিয় এলজি বন্দুক ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
তবে ওসি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কৌশলে স্থান ত্যাগ করেন।





