সেনাবাহিনীর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয় বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে মধ্যে মো. সেলিমকে লাল টি শার্ট, সোহানকে সবুজ টি শার্ট এবং সৈয়দপুরিয়া নওশাদকে সাদা কালো চেক টি শার্ট পরিহিত অবস্থায় আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মো. সেলিম (৫৫) ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মাসে মোহাম্মদপুর এলাকার ঢাকা উদ্যানের ট্রাক মালিক হারুনুর রশিদ নামে এক ব্যবসায়ীর বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করেন। এ ঘটনা তখন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। ফ্ল্যাট দখলের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সেলিম ও তার দলবল নিয়ে হামলা চালায়। হারুনুর রশিদ প্রাণ বাঁচাতে বাসার নিচে নিজ অফিসে আশ্রয় নিলেও সেখানেও তাকে গুরুতর আহত করা হয়।
আরও পড়ুন:
এ ঘটনার পর থেকেই সেলিম ও সোহান পলাতক ছিল। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গতিবিধির উপর নজর রেখে মোহাম্মদপুর সেনাবাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। ঘটনার প্রায় আট মাস পরও গ্রেপ্তার না হওয়ায় ভুক্তভোগী হারুনুর রশিদ ও তার পরিবার আতঙ্কে ছিলেন। মোহাম্মদপুর থানায় সেলিমের বিরুদ্ধে প্রায় ৬ থেকে ৭টি মামলা রয়েছে।
এর আগে গত ৬ আগস্ট সেলিমকে ধরতে সেনাবাহিনীর একটি দল তার বাসায় অভিযান চালালেও তিনি কৌশলে পালিয়ে যান। ওই অভিযানে কিছু ধারালো অস্ত্র এবং ককটেল বোমা বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল।
অপরদিকে, মোহাম্মদপুরের তালিকাভুক্ত ও চিহ্নিত আসামি সৈয়দপুরিয়া নওশাদকে (৩০) অন্য একটি অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নওশাদের বিরুদ্ধে প্রায় ২০টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ৫ থেকে ৬টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে। জেনেভা ক্যাম্পে পেট্রোলবোমা ও ককটেল বানানোর জন্য সে সুপরিচিত। বোমা বিস্ফোরণ, মাদক ব্যবসা, ও হত্যাসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের সাথে নওশাদ জড়িত বলে জানা যায়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সেলিম ও সোহানকে আমরা দীর্ঘদিন ধরে ট্র্যাক করছিলাম এবং শনিবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় তাদের চিহ্নিত করা সহজ হয়েছে। এছাড়াও জেনেভা ক্যাম্পে পেট্রোলবোমা ও ককটেল বানানোর জন্য পরিচিত নাম সৈয়দপুরিয়া নওশাদকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিকালে তাদের মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এলাকার শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। রাজধানীর শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।’





