আজ (মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনে আয়োজিত রাঙামাটিতে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, 'গত ১০ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয় সময়ের পরিক্রমায় যত উচ্চতা লাভের কথা ছিল, হয়তো আমরা সেটা দিতে পারিনি। নানামাত্রিক বাস্তবতা ছিল। সেই বাস্তবতাও আমরা কোনোভাবেই অস্বীকার করতে চাই না। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উচ্চতা বাড়াবার ক্ষেত্রে আমাদের প্রয়াস ধরে রাতে যেন পিছপা না হই।'
ড. আতিয়ার বলেন, 'আমার দু'টি যোগ্যতা, এর একটি মোটিভেটেড অন্যটি কানেক্টেড। আর গত ২০ বছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতে গিয়ে যেমনটা শিখেছি, গবেষণার সাথে যতটুকু আমার সংযোগ ছিল, তার সবটুকু দেয়ার ক্ষেত্রে আমি কোনো কার্পণ্য করবো না।'
মতবিনিময় সভায় রাঙামাটিতে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাংবাদিক নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
গত ৯ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমানকে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দেয় সরকার।
এর আগে জুলাই বিপ্লবে ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ১৮ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন ভিসি সেলিনা আক্তার ও প্রো ভিসি কাঞ্চন চাকমা। এরপর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ পদ দু'টি শূন্য পড়ে থাকে। এতে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তৈরি বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।
৭ জানুয়ারি থেকে ভিসি নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তাদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষে ৯ জানুয়ারি ডিসি অফিস শাটডাউন কর্মসুচির মধ্যেই নতুন ভিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।