দেশে এখন
0

নোয়াখালীর মাইজদীর অগ্নিকাণ্ডে ৩০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির দাবি

নোয়াখালীর মাইজদীতে দু'টি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে অর্ধশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আগুন লাগার পর দোকান থেকে লুটপাটের অভিযোগ করেন অনেকে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতিতে আগুন নেভাতে দেরি হয় বলেও অভিযোগ তাদের। সবমিলিয়ে ৩০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।

গতকাল (শনিবার, ১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টায় আগুন লাগে নোয়াখালীর মাইজদীর নুপুর ও হকার্স মার্কেটে। পুড়ে যায় অর্ধশত দোকান। প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের দু'টি ইউনিট এবং একপর্যায়ে মোট আটটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। রাত আড়াইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

তবে পুড়ে যাওয়া মালামালের স্তুপ থেকে সকালেও ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। বেলা ১১ টার দিকে আগুন সম্পূর্ণভাবে নেভাতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতিতে বেড়েছে আগুনের পরিসর। তাদের দাবি, আরও ইউনিট যুক্ত হলে কমানো যেত ক্ষয়ক্ষতি।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রথমে এসেছে একটা। শেষের দেকি যেভাবে পানি মারছে, সেভাবে যদি প্রথমে করতো তাহলে এই পাশের একটা দোকানেরও ক্ষতি হতো না।'

ফায়ার সার্ভিসও বলছে যথাযথ সরঞ্জামের অভাবে আগুন নেভাতে দেরি হয়েছে। তবে ভবনগুলো আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বলছেন তারা।

নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, 'বিশেষ পানিবাহী গাড়ি আছে। সে ধরনের একটা গাড়ি যদি আমাদের এখানে থাকতো তাহলে আমাদের অন্য আগুন নিভাতে আরও সুবিধা হতো এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও আরও কমিয়ে আনা সম্ভব হতো। আমাদের এই মার্কেটগুলোকে পরিদর্শন করে এই মার্কেটগুলো যে অগ্নি ঝুঁকিপূর্ণ তার ব্যানারও আমি লাগিয়ে দিয়েছিলাম।'

অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়েছে পাইকারি কাপড়, বাই সাইকেল ও জুতার দোকান। এছাড়াও ছাপাখানা, কাগজের গুদাম ও হোটেলসহ প্রায় ৫০টি দোকানও পুড়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

নূপুর মার্কেট সংলগ্ন একটি ছাপাখানার ভেতর থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এসএস