ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্যা ফ্রন্ট। গ্লাভস হাতে সোহান বরাবরই দুর্দান্ত। আর বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্বের পাশাপাশি এবার ব্যাট হাতেও প্রতিপক্ষ দলের বোলারদের উপর রীতিমতো তাণ্ডব তালাচ্ছেন সোহান। অন্যদিকে ঢাকার ক্যাপিটালসের মলিন আকাশে উজ্জ্বলতম তারা সাব্বির, যিনি দুর্দান্ত সব আগ্রাসী শটে বড় টুর্নামেন্ট থেকে দীর্ঘদিন দূরে থাকার আক্ষেপ মেটাচ্ছেন।
অঘোষিত ফাইনাল ম্যাচে সোহানের ৭ বলে ৩২ রানের ইনিংসটা বিশেষভাবেই বিশেষ। বিদেশি অনেক ক্রিকেটার মাঝে মাঝে বিধ্বংসী ব্যাটিং উপহার দিলেও, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ইনিংস বিরল, অবশ্য সোহানের ভূমিকাইতো এমন।
রংপুর রাইডার্সের বোলিং কোচ মোহাম্মদ রফিক বলেন, 'ভালো একটা টি-টোয়েন্টি খেলা হচ্ছে। খেলোয়াড়রা যে পারে এটাই কিন্তু তার একটা প্রমাণ। আজকে যদি একটা বিদেশি খেলোয়াড় এটা করতো, তখন বলা হতো এটা তো সে করে অভ্যস্ত। কিন্তু আমরাও যে পারি, এটা একটা প্রমাণ হলো।'
হারিয়ে যেতে যেতে আবারও পুরোনো মহিমায় আবির্ভূত হয়েছেন সাব্বির রহমান। সবশেষ দুই ইনিংসেই যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন ব্যাট হাতে সাব্বিরের রৌদ্র মূর্তিতে পুড়েছে বোলাররা। কিন্তু পুনরায় যাতে হারিয়ে না যান সেজন্য সাব্বিরকে দিয়েছেন পরামর্শ।
মোহাম্মদ রফিক বলেন, 'সাব্বিরের সাথে কথা হয়েছে, তো আমি বললাম যে দেখো তুমি যে কোয়ালিটির খেলোয়াড়, তোমার নামের পিছে ক্রিকেট আছে। ওইটা নিয়ে চিন্তা করো। তোমার কাজ হলো মাঠে পারফর্ম করা, বাইরে না। মাঠে একটা খেলোয়াড় যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ কিছু শিখবে। সাব্বির যেটা করছে আমি মনে করি ওর ফিউচারের জন্য ভালো হলো।'
একটা সময় জাতীয় দলের একাদশ সাজাতেই হিমশিম খেতে হতো নির্বাচকদের। এরপর দুশ্চিন্তা ছিল সাইডবেঞ্চ কিংবা পাইপলাইন নিয়ে। তবে ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে সাব্বির-সোহানরা নির্বাচকদের দুশ্চিন্তায় দিতে পারেন আস্থার প্রলেপ।