নতুন বছরে আবারও আগের নিয়মে ফিরেছে বিসিবি। ২১ ক্রিকেটারকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রেখে নতুন তালিকা প্রকাশ করে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। চলতি মাস থেকেই তালিকা অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাবেন প্রতিটি ক্রিকেটার।
বিগত বছরগুলোতে অভিজ্ঞতা, বর্তমান পারফরম্যান্স ও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা করা হতো পয়েন্টের ভিত্তিতে। তিন ফরম্যাটের আলাদা আলাদা ক্যাটাগরির জটিলতা এড়িয়ে এবার গ্রেডিং সিস্টেমে ফিরেছে বিসিবি। পাঁচ ক্যাটাগরির সেই তালিকায় আছেন দুই ফরম্যাটকে বিদায় জানানো মুশফিকুর রহিমও। অথচ তালিকায় জায়গা পাননি শামীম পাটোয়ারি-পারভেজ ইমনের মতো উঠতি ক্রিকেটাররা।
নতুন চুক্তিতে এ+ ক্যাটাগরিতে এককভাবে জায়গা পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। এ ক্যাটাগরির তিন ক্রিকেটার শান্ত লিটন ও মেহেদি হাসান মিরাজ। বি ক্যাটাগরিতে আছেন সাত ক্রিকেটার। তাইজুল, হাসান মাহমুদদের সাথে আছেন প্রথমবারের মতো চুক্তিতে নাম লেখানো নাহিদ রানা।
দুই ফরম্যাট খেলা নাহিদ রানা বি ক্যাটাগরিতে জায়গা পেলেও তিন ফরম্যাটেই পারফর্ম করা জাকের আলী অনিক আছেন গ্রুপ সি-তে। এছাড়াও ওপেনার তানজীদ তামিম, সৌম্য সরকারসহ মোট ৮ ক্রিকেটারের জায়গা হয়েছে সি ক্যাটাগরিতে। আর ডি ক্যাটাগরিতে আছেন নাসুম ও খালেদ আহমেদ।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা করা হলেও সেখানে জায়গা পাননি শামীম হোসেন পাটোয়ারী। অথচ এনসিএল বিপিএল থেকে ডিপিএল কিংবা টাইগারদের হাই-পারফরম্যান্স টিম, যেখানেই সুযোগ পেয়েছেন নিজেকে প্রমাণ করেছেন এই হার্ড হিটার ব্যাটার।
একই যুক্তি প্রযোজ্য পারভেজ হোসেন ইমনের বেলাতেও। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে জায়গা দেয়া হলেও রাখা হয়নি চুক্তির তালিকায়। তাহলে কোন পরিকল্পনায় ইমনকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে নেয়া হয়েছিল? প্রশ্ন অনেকের। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন পর ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা এবাদত হোসেনও পাননি প্রাপ্য সম্মান। ইনজুরি জয় করে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরা এই পেসারকে ভবিষ্যতের ভাবনায় রাখা হলে চুক্তির তালিকায়ও রাখা প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।