সাইকেলে চড়ে যুক্তরাজ্যের বাকিংহাম প্যালেসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন অন্তত ১২শ সান্তা ক্লজ। শীতের সকালে লাল জামা গায়ে এই সান্তাক্লজেরা শুধু শহরের শোভা বাড়াচ্ছেন এমনটা নয়। বরং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য তহবিল সংগ্রহও করছেন তারা।
শনিবার প্রায় ১২শ সাইক্লিস্ট সেন্ট্রাল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টারের পল মল সড়ক থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু করেন। তাদের পরনে সান্তার লাল সাদা পোষাক আর টুপি। কেউ কেউ আবার মুখে মেখেছেন সবুজ রঙ। দর্শনার্থীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে প্রদক্ষিণ করেছেন লন্ডনের প্রধান সড়ক।
বার্ষিক সান্তা ক্রুজের দশম আয়োজন এটি। বিএমএস্ক মডেলের সাইকেলের ভক্ত স্টিফেন রাইট ১০ বছর আগে এই উদ্যোগ নেন। স্টিফেনের ৬ মাস বয়েসের সন্তান টমি খুব অল্প বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসার খরচ মেটাতে হিমশিম খাওয়া স্টিফেনকে অর্থ সহায়তা দেয় ইকো নামের একটি চ্যারিটি সংস্থা। সেখান থেকেই আর্ত মানুষের সহায়তায় এমন আয়োজন শুরু করেন তিনি।
স্টিফেন রাইট বলেন, ‘দশ বছর আগে এই আয়োজনের সূত্রপাত। টমি তখন হাসপাতালে ভর্তি। মারাত্মক হার্ট অ্যাটাকের পর তার চিকিৎসা চলছে তখন। ইকো চ্যারিটির পক্ষ থেকে আমাকে অর্থ পাঠানো হয় যেন আমি আমরা কোনোভাবে লন্ডনে থাকতে পারি। আমি সেই ঋণই শোধ করতে এসেছি।’
এদিকে, বড়দিনের ছুটি উপলক্ষ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্কেটিং সাইট তৈরি করে পর্যটকদের চমকে দিয়েছে ফ্রান্স। রাজধানী প্যারিসে ৩ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে বানানো হয়েছে ক্ষণস্থায়ী এই ইনডোর স্কেটিং স্পট। আয়োজকরা বলছেন, পৃথিবীর কোথাও এত বড় ইনডোর স্কেটিং স্পট নেই। ২০২৪ এর অলিম্পিকে এই ভেন্যুতেই ফেন্সিং এর ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
আগামী বছর জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত খোলা থাকবে এই স্কেটিং ভেন্যু। তারপর প্রাকৃতিকভাবেই গলানো হবে বরফ দিয়ে তৈরি কৃত্রিম এই স্কেটিং স্পট। স্কেটিং করতে প্রাপ্ত বয়স্কদের গুনতে হবে ৩০ ইউরো। আর শিশুদের জন্য প্রয়োজন হবে ১০ ইউরোর। প্রবেশমূল্য পরিশোধ করলে আইস কেটস পাওয়া যাবে বিনামূল্যেই।





