বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি স্থগিত রেখেছে যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। ভিসা অপব্যবহারের আশঙ্কায় বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত নেয় ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়। পড়ালেখা না করে আশ্রয় প্রার্থী হওয়ার দিকে ঝুঁকছেন অনেকে। যদিও এসব অভিযোগ মানতে নারাজ দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
যুক্তরাজ্যের হার্ডফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাকিল ভূইয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে এখানে শিক্ষার্থীরা অ্যাসাইলাম করতে আসে না, একটা ভালো অ্যামবিশান নিয়ে আসে একটু ভালো পড়াশোনা করে ভালো পর্যায়ে যাওয়ার জন্য।’
যুক্তরাজ্যের ছাত্রনেতা এডি নাফিস ফুয়াদ নিলয় বলেন, ‘ডিসক্রিমিনেশনের পেছনে ডিপ্লোমেটিক অনেক ম্যাটার থাকতে পারে। এখানে উদ্দেশপ্রণোদিতভাবেও বাংলাদেশের যে সম্ভাবনা, সেটাকে ব্লক করার জন্য একটা স্টেপ হতে পারে সেটা।’
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ২২ শতাংশ এবং পাকিস্তানের ১৮ শতাংশ ভিসা আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
এছাড়া একই সময়ে হোম অফিস ২৩ হাজার ৩৬টি আবেদন নাকচ করেছে, যার অর্ধেকই এই দুই দেশের শিক্ষার্থী। এদিকে স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমানোর পর আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন বেড়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকদের।
যুক্তরাজ্য ইমিগ্রেশন বিষয়ক আইনজীবী এম লিয়াকত আলী বলেন, ‘এদেশে টোটাল ৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষ আছে, তার মধ্যে ১ শতাংশ মানুষ অ্যাসাইলাম সিক করে এবং শিক্ষার্থীদের দায়ী করা হয়।’
হোম অফিসের তথ্য অনুযায়ী, স্টুডেন্ট ভিসা থেকে সরাসরি এসাইলাম আবেদনকারীর শীর্ষে পাকিস্তান এবং পঞ্চম স্থানে আছে বাংলাদেশ। গেল দুই বছরে ১২ হাজার ৩২২ জন বাংলাদেশি এবং ৫ হাজার ৩১২ জন ভারতীয় এসাইলাম আবেদন করেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভুয়া এজেন্সির কারণে প্রকৃত শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
যুক্তরাজ্য খান এসোসিয়েটের সিইও শামস খান বলেন, ‘আমাদের দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে এবং আমাদের দেশটা মার্কড হয়ে যাচ্ছে, যে এ দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা এসে অ্যাসাইলাম সিক করে। এটা অনেক বড় একটা নেগেটিভ ইম্প্যাক্ট ফেলে।’
উচ্চ শিক্ষা নিতে প্রকৃত শিক্ষার্থীরা ব্রিটেনে আসলে রক্ষা হবে দেশের সুনাম এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।





