বিবিসির বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি ডলারের মানহানির মামলা ট্রাম্পের

বিবিসি লোগো, ডোনাল্ড ট্রাম্প
বিবিসি লোগো, ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি: সংগৃহীত
0

৬ জানুয়ারির ভাষণ ভুলভাবে সম্পাদনা করায় বিবিসির বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি ডলারের মানহানির মামলা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মানহানি ছাড়াও মামলা হয়েছে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। দুটি মামলা থেকে মোট এক হাজার কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। তবে মামলার বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম বিবিসি।

গেল নভেম্বরে হুমকি দিয়েছিলেন বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করে কমপক্ষে ১০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চাইবেন। তথ্যচিত্রের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেও ট্রাম্পকে ক্ষতিপূরণ দিতে নারাজ ছিল ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। এরই শোধ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। একধাক্কায়িএক হাজার কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিবিসি’র বিরুদ্ধে মানহানি ও বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলাদা দু’টি মামলা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ফ্লোরিডার একটি আদালতে দায়ের করা দু’টি মামলা থেকে ৫শ কোটি ডলার করে মোট ১ হাজার কোটি ডলার আদায়ের দাবি করছেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। তাদের অভিযোগ, উদ্দেশপ্রণোদিতভাবে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক, অবমাননাকর, উত্তেজনাপূর্ণ তথ্য প্রচার করেছে বিবিসি। এরমাধ্যমে ২০২৪ এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টা করেছে তারা।

‘ট্রাম্প- আ সেকেন্ড চান্স’ নামের বিবিসির ওই তথ্যচিত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের দুটি অংশ এমনভাবে জোড়া লাগানো হয়েছিল যাতে মনে হয়, ২০২১ এর ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার সময় সমর্থককে বেপরোয়াভাবে উৎসাহিত করেছিলেন ট্রাম্প। এর জেরে গেল নভেম্বরে বিবিসি’র বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা করার হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে গেল নভেম্বরেই পদত্যাগ করেন বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও বার্তাপ্রধান ডেবোরাহ টারনেস। কিন্তু একাধিক কারণ দেখিয়ে শুরু থেকেই ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানায় তারা।

আরও পড়ুন:

মামলা দায়েরের আগে সোমবার ওভাল অফিসে সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ৬ জানুয়ারির ভাষণে দেশপ্রেম ও গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু বিবিসি তার মুখে কথা বসিয়ে ভাষণের অর্থ বদলে দেয়ার চেষ্টা করেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘তারা আমার মুখে ভয়ঙ্কর কথা বসিয়েছে। ৬ জানুয়ারির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। আমি বলেছিলাম দেশপ্রেমের কথা। আমি আরও অনেক ভালো কথা বলেছি, কিন্তু তারা সেগুলোর একটাও রাখেনি। আমাকে দিয়ে এমন কথা বলানো হয়েছে যা আমি কখনওই বলিনি।’

বার্তা সংস্থা এপি বলছে, ট্রাম্পের বক্তব্য নিয়ে বিতর্কিত ঐ তথ্যচিত্রটি যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রচার করা হয়নি, তা সীমাবদ্ধ ছিল যুক্তরাজ্যের দর্শকদের জন্য। আর বিবিসি শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, দীর্ঘ ভাষণ সংক্ষেপ করতে গিয়ে ওভাবে সম্পাদনা করা হয়েছিল, এটি উদ্দেশপ্রণোদিত ছিল না। আর যুক্তরাষ্ট্রের মানহানি আইনে জনস্বার্থ ও রাজনৈতিক বিষয়ে মতামত প্রকাশে সুরক্ষার কথা বলা আছে। মূলত এইসব কারণে শুরু থেকেই ক্ষতিপূরণের বিরোধিতা করছিল বিবিসি।

এসএস