গদি দখলে রাখার খেলায় পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে ইয়ুন সুক ইওল। ৪৪ বছর পর প্রথমবারের মত সামরিক আইন জারি করায় এবার নিজ দলের সমর্থনও হারালেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
দেশের সুরক্ষার জন্য ইয়ুনকে দ্রুতই বরখাস্ত করা উচিত। আজ (শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টে দলীয় বৈঠকে এমন মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টির প্রধান হান ডং হুন।
অভিযোগ করেন, মার্শাল ল' জারির মাধ্যমে রাজনীতিবিদদের কারাবন্দি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। যদিও অভিশংসন প্রস্তাবে ইয়ুন সুক ইওলের বিরুদ্ধে ভোট দেয়া হবে কি না, বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়নি।
পিপল পাওয়ার পার্টির প্রধান হান ডং হুন বলেন, ‘বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, প্রেসিডেন্ট দেশের রাজনীতিবিদদের আটকের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাই দেশ ও জনগণের সুরক্ষার জন্য ইয়ুন সুক ইওলকে বরখাস্ত করা উচিত।’
এদিকে আবারও দক্ষিণ কোরিয়ার গণতন্ত্রকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করছেন প্রেসিডেন্ট। দ্বিতীয়বারের মতো সামরিক আইন জারির পরিকল্পনা করছেন ইয়ুন, এমনটাই অভিযোগ দেশটির এক মানবাধিকার সংস্থার। এমন নির্দেশনা পেলেও বাস্তবায়ন করা হবে না বলে দাবি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম সুন হো বলেন, ‘সেকেন্ড মার্শাল ল জারির খবরটি সত্য নয়। যদি আমাদের কাছে এমন নির্দেশনা আসে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত জনগণের পক্ষেই নিবেন।’
সেন্টার ফর মিলিটারি হিউম্যান রাইটসের প্রতিনিধি লিম তে হুন বলেন, ‘গতকাল রাতে সেন্টার ফর মিলিটারি হিউম্যান রাইটস দ্বিতীয়বারের মতো সামরিক আইন জারির কয়েকটি পরিকল্পনার খবর পেয়েছে। সেনাবাহিনীর কয়েকটি ইউনিটকে জানানো হয়েছে অভিশংসনের পর জরুরি অবস্থা জারি করা হবে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করতে।’
সামরিক আইন জারির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করায় ইয়ুনের বিরুদ্ধে জোরালো হচ্ছে পদত্যাগের দাবি। প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনে আইনপ্রণেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে পার্লামেন্টে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা।
তিনদিন ধরে কোরিয়ার রাজপথ দখলে রেখেছেন সাধারণ জনতা। স্থানীয় সময় শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইয়ুন সুক ইওলকে অভিশংসন প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে দেশটির পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে।