দেশের সব থেকে বড় সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ বা জিকে প্রজেক্ট।
কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরার ১৩টি উপজেলায় সেচ সুবিধা, বন্যা নিয়ন্ত্রণসহ বহুমুখী উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন করা হয় এই সেচ প্রকল্পে। তবে ফসল আবাদে আশীর্বাদ সেই জিকে সেচ প্রকল্প এখন মৃত প্রায়।
দখল, দূষণ আর সংস্কারের অভাবে ঝিনাইদহে খাল ভরাট করে গড়ে তোলা হচ্ছে দোকানপাট, বসত বাড়ি। চুরি যাচ্ছে সেচ খালের স্লুইচ গেট। বেদখল হচ্ছে প্রকল্পের অফিস ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা। পানি না পাওয়ায় শুধু ঝিনাইদহ অঞ্চলেই ব্যাহত হচ্ছে ৩০ হাজার হেক্টর জমির চাষাবাদ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা বলছেন, ইতোমধ্যে সাড়ে ৫ শতাধিক দখলদারের তালিকা করা হয়েছে। শিগগিরই উচ্ছেদের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘তালিকা অনুযায়ী আগেও কিছু উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখন এগুলো সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। সিদ্ধান্ত আসলে পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।’
জিকে সেচ প্রকল্পে ১৯৩ কিলোমিটার প্রধান সেচ খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার শাখা খাল ও ৯৯৫ কিলোমিটার প্রশাখা খাল রয়েছে। বর্তমানে যার বেশিরভাগই মৃতপ্রায়।