নেত্রকোণায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কাঠের ব্রিজ সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ

0

নেত্রকোণার পূর্বধলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কাঠের ব্রিজের সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগে কয়েক গ্রামের অন্তত ১০ হাজার বাসিন্দা। স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত কাঠের ব্রিজটি ভাঙার প্রায় দুই মাস পার হতে চললেও সংস্কারের অভাবে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থী, রোগীসহ সবাই। ঝুঁকি নিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজটি পার করছেন স্থানীয়রা। যাতায়াতের কষ্ট লাঘবে মগড়া নদীর ওপর একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি তাদের।

পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউড়া, নারান্দিয়া ও সদর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে বয়ে চলা মগরা নদী। শুকনো সময় পানি না থাকলেও বর্ষায় বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে ভরে ওঠে নদীটি। পার হওয়ার কোনো মাধ্যম না থাকায় কলা গাছের ভেলা কিংবা ছোট নৌকা দিয়ে পার হতে হয়। প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির মতো ঘটনা।

দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়রা একটি স্থায়ী ব্রিজের দাবি জানিয়ে আসলেও তা পূরণ না হওয়ায় গত বছর খলিশাউড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে নির্মাণ করেন একটি কাঠের ব্রিজ। তবে অক্টোবরের আকস্মিক বন্যায় তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ফলে বর্তমানে নড়বড়ে অবস্থা পুরো ব্রিজটির। বিকল্পের অভাবে এর ওপর দিয়েই চলাচল করছেন স্থানীয়রা। যাতে বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা।

ব্রিজটি ভাঙার প্রায় দুই মাস পার হতে চললেও এখনো সরকারিভাবে সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে শিমুলকান্দি, সাতকোন, শালদিঘা, বহেরখান্দা সহ আশপাশের কয়েক এলাকার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বলছেন মগড়া নদীর সিন্দুরাটিয়া অংশে একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের জন্য বারবার আবেদন করেও সুফল মেলেনি। আর দ্রুতই ব্রিজটি নির্মাণের আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক।

নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, ‘স্থানীয় আর্থিক সক্ষমতা দিয়ে আমরা স্থায়ী ব্রিজ করতে পারব না। তবে আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এই এলাকার জনগণের জন্য একটি স্থায়ী ব্রিজ তৈরির একটি তালিকা পাঠিয়েছি।’

স্থায়ী ব্রিজটি নির্মাণ হলে ভোগান্তি কমার পাশাপাশি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ভিতও শক্ত হবে।

এএম