সাফজয়ী নারীরা বিদেশি লিগে ডাক পেলে খেলার অনুমতি দেবে বাফুফে। এমনটাই জানালেন, বাফুফে নির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ। টানা দ্বিতীয়বার দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব জয়ীদের বাফুফে আর্থিক পুরস্কার দেবে কিনা? এমন প্রশ্নে নতুন সভাপতির দিকে বল ঠেলে দিলেন কিরণ।
জাতীয় দলের হয়ে ধারাবাহিক পারফর্ম করলে এশিয়ার বাইরের লিগে হয়ত সুযোগ পাবেন মাসুরা। তবে, এরই মধ্যে তার সতীর্থ সাবিনা আর রিতুপর্না ডাক পেয়ে গেছেন ইউরোপিয়ান ক্লাবে। তাদের অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক বাফুফে।
যদিও গেল বছর নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের স্বপ্ন দেখিয়ে বিদেশি লিগে নারী ফুটবলারদের খেলতে দেয়নি ফেডারেশন।
বাফুফের নির্বাহী সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘আমাদের কাছে যদি ক্লাবগুলো থেকে অফার আসে আমরা সবসময়ই চেষ্টা করেছি মেয়েদেরকে দেয়ার জন্য। যেখান থেকে অফার এসেছে সেখান থেকে আমরা মেয়েদের বঞ্চিত করি নি। আমরা চাই ওরা ভালো ক্লাবে যাক, এটা তো আমাদের দেশের জন্য সম্মানজনক।’
টানা দ্বিতীয়বার সাফ জেতায় সাবিনাদের কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার দিয়েছে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এবার বাফুফের নবনির্বাচিত কমিটি তাদেরকে পুরস্কৃত করবে কিনা? এমন প্রশ্নে সভাপতির কোর্টে বল ঠেলে দিলেন কিরণ।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় নতুন প্রেসিডেন্টকে এ প্রশ্ন করা উচিত, আমাকে না।’
গত কমিটির আমলে নারী ফুটবলারদের ম্যাচ ফি আর বেতন ছিল অনিয়মিত। ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলা হতো কালেভদ্রে। আবাসন ব্যবস্থা নিয়েও রয়েছে নানান প্রশ্ন। এমন পরিস্থিতিতে সাফ জেতায় অবাকই হয়েছেন বাফুফে নির্বাহী সদস্য। নারী ফুটবল এই পর্যায়ে আসায় তার কণ্ঠে শুধু সালাহউদ্দিন বন্দনা।
মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, কাজী সালাহউদ্দিনের মতো প্রেসিডেন্ট যদি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে না থাকত মেয়েদের এ সাফল্য আমরা কোনোদিনও দেখতাম না। আমাদের কোনো মাঠ নেই, আপনারা জানেন কী অবস্থা। আমরা প্র্যাকটিস করতে পারি না, খেলবো কোথায়। সে সিচুয়েশনে বাংলাদেশে যে ফুটবল আছে এবং বাংলাদেশ যে সাউথ এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন এটা তো আমি বলবো মিরাকল।’
আসন্ন ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশের নারীদের জন্য কোনো ম্যাচ নিশ্চিত হয়নি। প্রীতি ম্যাচের মতোই মাহফুজা আক্তার কিরণের বাফুফে নারী উইং চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকার বিষয়টিও নিশ্চিত নয়।