চট্টগ্রাম টেস্ট। বাংলাদেশের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামলেও পারফরম্যান্সে তেমন পরিবর্তন নেই শান্তদের।
প্রথম সেশনেই ওপেনার জর্জির ক্যাচ মিস। সেটার চড়া মাশুল দিতে হয়েছে স্বাগতিকদের। প্রোটিয়াদের রানের চাকা সচল রেখেছেন এই ব্যাটার। তার সাথে থাকা মার্করাম ক্রিজে সেট হলেও ৩৩ রানেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ককে ফেরান স্পিনার তাইজুল।
প্রথম উইকেট হারিয়ে তেমন চাপে পড়েনি সফরততরা। ওয়ানডাউনে নামা স্টাবস দেখেশুনেই খেলেছেন বাংলাদেশি বোলারদের। টাইগার একাদশে পেসার বাড়ালেও প্রথম দিনে তার সুফল মেলেনি। প্রোটিয়া ব্যাটারদের সামনে একরকম অসহায়ই ছিলেন হাসান মাহমুদ আর নাহিদ রানা।
চট্টলার ব্যাটিং বান্ধব উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে হেসে খেলে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকিয়েছেন টনি জর্জি। সেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করার আরেকটি সুযোগ পান এই ওপেনার।
তাকে সঙ্গ দেয়া স্টাবসও প্রথমবার পেয়েছেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগারের দেখা। যদিও এর কিছুক্ষণ পরই তাইজুলের বলেই উইকেট দেন এই ব্যাটার। পরে বেডিংহামকে নিয়ে দলীয় স্কোর তিনশোর কোটা পার করেন টনি জর্জি।
প্রথম দিনে অবশ্য নির্ধারিত সময়ের আগেই খেলার ইতি টেনেছেন আম্পায়াররা। আলোক স্বল্পতায় ৯০ ওভার মাঠে গড়ায়নি। তবে, দিনশেষে দুই ব্যাটারের শতকের মধ্য দিয়ে চালকের আসনে প্রোটিয়ারা।