বাজার
দেশে এখন
0

নিয়ন্ত্রণহীন ডিমের বাজারের লাগাম টানবে কে!

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বেঁধে দেয়া দরে ডিম মিলছেই না। ডিম কিনতে হিমশিম অবস্থা ক্রেতাদের। ভারত থেকে আমদানি করেও ডজন কিনতে হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকায়। বন্যার দোহাই দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ঊর্ধ্বগতির এই ডিমের বাজারের লাগাম টানবে কে! এদিকে চারবার হাত বদলে খুচরা বাজার থেকে ভোক্তা যখন মুরগি কেনেন সেই মুরগির দাম কেজিতে বেড়ে যায় ৩০ টাকা।

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বমুখির বাজারে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের পুষ্টির জোগানে ভরসা ব্রয়লার মুরগী ও ডিমে। কিন্তু ক্ষণে ক্ষণে সেখানেও মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কালো থাবায় ভাঁজ পড়ছে ভোক্তার কপালে।

রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা, কক ২৯০-৩১০ টাকা আর আর ডিম ডজন ১৮০ টাকা। এর মধ্যে ব্রয়লারের দাম গেলো এক মাসে উঠানামা করেছে ১৭০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত, আর ডিম ২ সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে বেড়েছে ২০ টাকা। মূল্যবৃদ্ধির গতি যেন বোঝে না ভোক্তার আক্ষেপ।

ভোক্তাদের মধ্যে একজন জানান, সরকার যে রেট দিয়েছে সে দামে আমরা পাই না। দোকানদাররা আনে না।

মূলত তেজগাঁও, কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজারসহ একাধিক পয়েন্ট দিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করে মুরগী। সারাদেশ থেকে আসা বেপারীদের কাছ থেকে কমিশনে মুরগী নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি বিক্রি করেন আড়তদারররা। এসব বাজার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে মুরগী পৌঁছতে পোঁছতেই দাম বাড়ে কেজিতে ২০-৩০ টাকা। যদিও ব্যবসায়ীরা দায় চাপাচ্ছেন বৃষ্টি কিংবা একজন অপর জনের ওপর।

বিক্রেতাদের মধ্যে একজন বলেন, 'শেডে মাল নাই, খামারে মাল নাই । খামারিরা নানা কথা বলে। আমাদের কিনা যা বিক্রি তাই। ৫ টাকা ১০ টাকা লাভ হয়।'

আরও একজন জানান, দুই সপ্তাহ আগের থেকে এখন দাম একটু চড়া। দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি করছি ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। কিন্তু এখন বিক্রি করছি ২৬০ টাকা দরে। কারণ বাড়তি বাজার বা বৃষ্টির দিনে একটু কম মানুষ কেনাকাটা করে।

এদিকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ডিম পাচ্ছেন না দোহাই দিয়ে কেনা-বেচা বন্ধ রেখেছেন কাপ্তানবাজারের ব্যবসায়ীরা। তবে অন্যান্য বাজারে ডিমের দাম ১৮০ টাকার ঘরে

ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন জানান, সরকার যে দাম দিয়েছে সেই দামে আড়তদাররা ডিম কিনতে পারছে না। ফলে ডিম কিনা বন্ধ।

আরো একজন জানান, আমরা সরকারি রেটে ডিম পাচ্ছি না। ভোক্তা অধিকার যে দাম নির্ধারণ করছে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা। কিন্তু আমরা কোথাও ১০ টাকা ৫৮ পয়সা ডিম পাই নাই।

দেশে দৈনিক ডিমের চাহিদা ৪ কোটির মতো। সাধারণত উৎপাদন হয় ৫ কোটি। এরপরও ডিমের বাজারের নাগাল টানা যাচ্ছে না।