কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

বাণিজ্যিকভাবে চুইঝাল চাষে ঝুঁকছেন নড়াইলের কৃষকরা

ভৌগোলিক কারণে নড়াইল জেলার মাটি চুইঝাল চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ধান, পাট, গমসহ অন্যান্য ফসলের চেয়ে চুইঝাল চাষে খরচ ও পরিশ্রম একেবারেই কম, রোগবালাই নেই বললেই চলে। বাড়ির আঙিনা কিংবা বাগানের যেকোনো গাছের সাথি ফসল হিসেবে সহজেই চাষ করা সম্ভব। এ কারণে দিন দিন মসলা জাতীয় এই ফসল চাষে ঝুঁকছেন কৃষকেরা।

নড়াইল জেলার প্রায় ৮২ শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানকার কৃষকরা ধান, পাট, গমসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করলেও চুই ঝালের কোন আবাদ ছিলনা। তবে গত কয়েক বছরে হাজারো কৃষক বাণিজ্যিকভাবে করছেন চুই এর আবাদ।

সদরের উজিরপুর গ্রামের কৃষক নাজমুল মোল্লা। ৫ বছর আগে সাড়ে তিন একর জমির আম, লিচু, মেহগনি, সুপারিসহ বিভিন্ন প্রকার ফলজ ও বনজ বাগানে সাথি ফসল হিসাবে চুই এর আবাদ করেছেন। বর্তমানে তার বাগানে প্রায় ৬শ চুই গাছ রয়েছে। বছরে পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করে অন্তত দশ থেকে বারো লাখ টাকার চুইঝাল বিক্রির আশা তার।

দেশে সবচেয়ে বেশি চুইঝালের আবাদ হয় খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায়। এরপরেই নড়াইলের অবস্থান। এ জেলার সব উপজেলাতেই চুইয়ের চাষ হয় তবে বেশি আবাদ হয় কালিয়া উপজেলায়। লাভজনক হওয়ায় নাজমুলের মতো নড়াইলের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কৃষক চুইঝালের আবাদ করছেন।

চারা লাগানোর দুই বছর পর থেকে চুইঝাল বিক্রি করা যায়। গাছের ওজন হিসেবে এর দাম নির্ধারণ হয়। প্রতি কেজি চুইঝাল আকার ভেদে ৫শ' টাকা থেকে ১৫শ' টাকায় বিক্রি হয়। গাছের বয়স যত বাড়ে, দামও তত বাড়তে থাকে। একেকটি গাছ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চুইঝাল বিক্রি করা যায়।

চুই চাষে কৃষকদের সবধরণের সহায়তা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। চলতি অর্থবছরে নড়াইলে অন্তত ৫০ টন চুইঝাল উৎপাদনের আশা সংশ্লিষ্টদের। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ছয় কোটি টাকা।

এএইচ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর