কয়েক দিন শান্ত থাকার পর গেলো দুইদিন ধরে আবারো উত্তপ্ত সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল।
আজ ( বুধবার,২ অক্টোবর)সকাল থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন বার্ডস গ্রুপের তিনটি কারখানার শ্রমিকরা। এতে নবীনগর থেকে বাইপাইল হয়ে কবিরপুর পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের ভোগান্তি পোহাতে হয় ঢাকা-আরিচা ও আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল সড়কে চলাচলকারীদেরও।
এসময় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের মহাসড়ক ছাড়তে বললেও দাবি আদায় না পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান তারা।
পরে দুপুরে বার্ডস গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা আনোয়ার সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর মহাসড়ক থেকে সরে যান আন্দোলনকারীরা। এতে প্রায় ৫৬ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের যান চলাচল।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, 'বিজিএমেরে কাছ থেকে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ১০ তারিখে স্যালারি দেওয়া হবে। আর ৩০ তারিখে যাদের বেতন পাওনা আছে, তাদের বেতন পরিশোধ করা হবে। এইগুলো সব পাশ হয়েছে।'
আরও একজন জানান, আমাদের ন্যায্য মজুরি আমরা বুঝে পেতে চাই । কারণ এর উপর আমাদের অনেক কিছু নির্ভর করে। বাড়িওয়ালা রুম ভাড়া চাইতেছে। দোকান বাকি দিতে হবে।
তবে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে সহিংসতার শঙ্কায় বন্ধ রয়েছে এ অঞ্চলের অন্তত ১৪টি কারখানা। সোমবার এক শ্রমিক নিহতের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন পোশাক শ্রমিকরা।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে আরো একজন জানান, ছেলে নিয়োগ বন্ধ। শুধু মেয়েদেরই নিয়োগ দেওয়া হয়।
এদিকে মঙ্গলবার তৈরি পোশাক উৎপাদনকারী টিএনজেড গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এ্যাপারেল প্লাস লিমিটেড বেতন-বোনাস পরিশোধ করায় সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। তবে, চাকরি প্রত্যাশীরা মহাসড়ক অবরোধ করলে নিরাপত্তা শঙ্কায় শহরের নলজানি ও ভোগড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
পরে শিল্প পুলিশ আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে প্রায় এক ঘণ্টা পর মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।