আজ (বুধবার, ২ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে সড়কটি থেকে শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন।
অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে ডিইপিজেড এলাকায় সড়ক উন্নয়নের কাজ চলমান থাকায় সেখানে যান চলাচলে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।
অবরোধের কারণে আজ সকাল থেকে নবীনগর-চন্দ্রা ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, আটকে ছিল জরুরি পণ্যবাহী গাড়িসহ অসংখ্য যানবাহন। এতে সড়ক ব্যবহারকারীরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে।
এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে আশুলিয়ার বাইপাইলে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতনের দাবি জানান বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকেরা। সোমবার এক শ্রমিক নিহতের পর থেকেই অস্থিরতা বাড়ে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায়। নবীনগর-চন্দ্রা মহসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন পোশাক শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, আশুলিয়ার বার্ডস গ্রুপের চারটি কারখানা লে-অফ ঘোষণা করে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের কথা জানায় মালিক পক্ষ। তবে শ্রমিকরা সকালে কারখানার সামনে এসে দেখেন, কারখানা ফটকে পাওনাদি পরিশোধের সময়সীমা তিন মাস বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি নোটিশ লাগিয়ে রেখেছে মালিকপক্ষ। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে বকেয়া পাওনার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে রাখেন তাঁরা।
এদিকে মঙ্গলবার নবীনগর-চন্দ্রা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে পরিবহন শ্রমিকদের।
বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে আশুলিয়ার বার্ডস গ্রুপের পোশাক কারখানার প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার শ্রমিক সড়ক অবরোধ করেন। এতে সহিংসতার ঘটনায় বন্ধ রাখা হয় ১৪টি কারখানা। তবে অন্যান্য কারখানা সচল রয়েছে। আর শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ শ্রমিক নেতাদের।
সর্বশেষ গত ২৪ সেপ্টেম্বর পোশাক শ্রমিকদের হাজিরা বোনাস ২২৫ টাকা বাড়ানোসহ শ্রমিকদের ১৮টি দাবি মেনে নেয় সরকার। সকল পোশাক কারখানা চালুর ঘোষণা দেয়া হয়।