জানা গেছে, দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে প্রায় আড়াই হাজার টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চারটি প্রতিষ্ঠান ২০০ টন মাছ রপ্তানির করবে।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৭ টন ৩শ' কেজি ইলিশ মাছ রপ্তানি হয়েছে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিডিএস কর্পোরেশন ৩ টন এবং স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ ৪ টন ৩০০ কেজি মাছ রপ্তানি করেছে। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার। রপ্তানিকৃত ইলিশের আকার ৭শ' থেকে ১ হাজার গ্রাম। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি কেজি ইলিশের দাম পড়েছে প্রায় ১২শ' টাকা। তবে পাইকারি দরে মাছগুলো রপ্তানিকৃত মূল্যের চেয়েও কম দামে কেনায় মুনাফা হবে বলে দাবি রপ্তানিকারকদের।
বাংলাদেশি ক্রেতাদের একজন বলেন, 'ইলিশের যে দাম দুইটা ইলিশ কিনেছি ২৪শ’ টাকা দিয়ে। ইলিশ কি আমরা খেতে পারি নাকি ইলিশ তো যায় ইন্ডিয়া। বাজারে তো ইলিশ প্রচুর আছে কিন্তু দাম তো কমে না। সব মাছ তো নিয়ে যায় ইন্ডিয়া। আমরা খাবো কিভাবে? এক বছর ইলিশ কিনতে আসলাম কিন্তু এসে দেখি ইলিশের দাম ১৬শ’ থেকে ২২শ’ টাকা। তাহলে কিনবো কিভাবে এত দাম দিয়ে।'
আরেকজন বলেন, 'এখন যে ইলিশের দাম দেখছি সর্বনিম্ন বলতেছে ১৫শ’ টাকা কেজি। এই অবস্থা যদি হয় তাহলে আমরা বাংলাদেশের মানুষ ইলিশ খেয়ে বাঁচতে পারবো না।'
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ জানান, পাইকারি দরে বাজার থেকে রপ্তানি মূল্যের চেয়েও কম দামে ইলিশ মাছ কেনা হয়েছে। ধাপে ধাপে আরও ইলিশ মাছ বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হবে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, রপ্তানিতে কোনো প্রকার শুল্ক না থাকায় শুল্ক কর্তৃপক্ষের আয় না হলেও বৈদেশিক মুদ্রা পাবে সরকার। যার মাধ্যমে বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।