বাঙালি-পাহাড়িদের সংঘর্ষে রাঙামাটির বনরূপা বাজার এখনও যেন বিধ্বস্ত জনপদ। হামলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তাণ্ডবের চিহ্ন।
নতুন করে কোথাও সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও পার্বত্য এলাকায় বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি। যেকোনো অপ্রীতিকর ও সংঘর্ষের ঘটনা এড়াতে রাঙামাটির গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এখনও জেলায় জারি আছে ১৪৪ ধারা।
চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে রাঙামাটিতে গেছেন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। সাথে আছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এবং স্থানীয় সরকার বিষয়ক উপদেষ্টা হাসান আরিফ। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে রাঙামাটি পৌঁছানোর পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে বৈঠকে বসেন তারা।
এদিকে, শনিবার সকাল ৬টা থেকে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে 'সিএইচটি ব্লকেড' নামে সড়ক ও নৌপথে চলছে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ। বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে পাহাড়িরা।
অবরোধে কারণে সকাল থেকে খাগড়াছড়ির সঙ্গে চট্টগ্রাম ও ঢাকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে অভ্যন্তরীণ রুটেও চলছে না জিপ বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা।
তবে, পাহাড়ি ছাত্র সমাজের ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের তেমন প্রভাব পড়েনি বান্দরবানে। সকাল থেকে বান্দরবান থেকে চট্টগ্রাম,কক্সবাজার,ঢাকাসহ বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বান্দরবান থেকে ছেড়ে গেছে দূরপাল্লার সব বাস। এছাড়াও বান্দরবানের অভ্যন্তরীণ সড়ক যেমন রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি সড়কেও যথাসময়ে বাস ছেড়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।