১১ মাস পেরিয়ে গেলেও গাজায় থামছে না ইসরাইলি আগ্রাসন। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) উপত্যকার নুসেইরাতে আল জাওনি স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। বাস্তুচ্যুত ১২ হাজার ফিলিস্তিনির ঘর ছিল জাতিসংঘের এই স্কুলটি। ইউএনআরডব্লিউএ এর সদস্যসহ হামলায় নিহত হয়েছেন বহু মানুষ।
ইসরাইলের দাবি, স্কুলটিতে হামাসের কমান্ড সেন্টার ছিল। যদিও দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি আইডিএফ। যুদ্ধ শুরুর পর পঞ্চমবারের মতো হামলা চালানো হয়েছে স্কুলটিতে। জবাবদিহির অভাবে ইসরাইল জাতিসংঘের কর্মীদের হত্যা করতে পারছে বলে দাবি করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মহাসচিব জানিয়েছেন, গাজায় যা চলছে, তা মেনে নেয়া যায় না।
অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, 'হামাস আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। জিম্মিদের বিষয়টি নিয়েও ছেলেখেলা করছে। তবে এটা পরিষ্কার যে গাজায় যা চলছে, তা মেনে নেয়া যায় না।'
শুধু গাজাতেই নয়, ইসরাইলের সামরিক অভিযান অব্যাহত আছে পশ্চিমতীরেও। তুলকারেম, নুর শামস ও জেনিনসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরাইলি সেনারা। ১৬ দিন ধরে চলা এই অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন অর্ধশতাধিক পশ্চিম তীরের বাসিন্দা। যা ২০০০ সালে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ইন্তিফাদার পর সর্বোচ্চ প্রাণহানি।
জর্ডানের এক ব্যক্তির বন্দুক হামলায় তিন ইসরাইলি নিহত হওয়ার পর পশ্চিম তীর সফরে গেলেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী জানান, নাগরিকদের নিরাপত্তায় শিগগিরই জর্ডান উপত্যকায় তৈরি করা হবে বৃহৎ সীমানা প্রাচীর।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, 'আমাদের পূর্বাঞ্চলীয় সীমানা সুরক্ষিত করার সময় চলে এসেছে। দৃঢ় ও বৃহৎ সীমানা প্রাচীর তৈরিতে আমরা কাজ করছি। প্রতিবেশিদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতেই এই কাজ করা হবে।'
নতুন শর্ত যুক্ত না করলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরে রাজি হামাস। বুধবার দোহায় কাতার ও মিশরের মধ্যস্ততাকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।