উপদেষ্টা বলেন, ‘র্যাবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। র্যাব গঠনের সময় বলা হয়েছিলো, বাহিনীটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হবে না। কিন্তু পরবর্তী সময় তা মানা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মনে বদ্ধমূল ধারণা এই যে যখন থেকে র্যাবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা শুরু হয়, তখন থেকেই র্যাব গুম, খুন সহ বিভিন্ন বেআইনি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হতে শুরু করে।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, ‘র্যাব গঠনের শুরুর দিকে এটি একটি সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত বাহিনী হিসেবে মানুষের সম্মান, আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে। পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর সেরা অফিসারদের এখানে পদায়ন করা হতো। যখনই রাজনৈতিক বিবেচনায় এ বাহিনীতে নিয়োগ ও পদায়ন শুরু হয়, তখন থেকে এতে পচন ধরতে শুরু করে।’
উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘ভালোবাসা, ব্যবহার ও পারফরম্যান্সের মাধ্যমে র্যাবের হারানো গৌরব ও সম্মান পুনরুদ্ধার সম্ভব। সেজন্য আইনের মধ্যে থেকে র্যাবকে কাজ করে যেতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বেআইনি আদেশ মানা যাবে না। অননুমোদিত ও বেআইনিভাবে কাউকে আটক রাখা যাবে না। ক্রসফায়ার, গুম, খুন থেকে র্যাবকে দূরে থাকতে হবে।’
সভায় র্যাবের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান সহ বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে র্যাবের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। মতবিনিময় সভা শেষে উপদেষ্টা র্যাবের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।