গেল ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তোলপাড় গোটা ভারত। ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছেন সর্বস্তরের মানুষ। আন্দোলনে যোগ দিয়েছে চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবি ও রাজনৈতিক সংগঠন। ধর্মঘটের ডাক দেন দেশটির সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। বন্ধ আছে হাসপাতালের বহির্বিভাগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীরা। প্রতিদিনই বহু বাংলাদেশি পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছুটে যান চিকিৎসার উদ্দেশে। দেশটির চিকিৎসা খাতের টালমাটাল পরিস্থিতিতে সেবা পাচ্ছেন না অনেকেই। বাধ্য হয়ে চিকিৎসা শেষ না করেই দেশে ফিরতে হচ্ছে অনেককে।
বাংলাদেশি রোগীদের একজন বলেন, 'কলকাতাতে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে চিকিৎসা নিতে পারিনি দেশে ফিরে যাচ্ছি ।'
আরো একজন রোগী বলেন'ভারতে সমস্যা হচ্ছে কিন্তু পরিষেবা আগেই ভালো পাওয়া যেতো।'
ভারতীয় নাগরিকরা বলেন, 'বাংলাদেশি রোগীরা যাতে ডাক্তার দেখাতে পারে সেই আশায় রাখি।'
বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ এখন চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে আছেন ভারতে। অনেকের ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, চিকিৎসকদের না পেয়ে তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে দিনের পর দিন। এতে গুণতে হচ্ছে বাড়তি খরচও।
এমন পরিস্থিতিতে চলমান সংকট কাটিয়ে উঠে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।