বোয়িং নির্মিত স্টারলাইন রকেটে করে চলতি বছর ৫ জুন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যান নাসার দুই নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামস। এক সপ্তাহ পরই ফিরে আসার কথা থাকলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে মহাকাশেই আটকে আছেন তারা।
বোয়িং জানায়, নভোচারীদের বহন করা রকেটটিতে প্রপালশন সমস্যা ও হিলিয়াম লিক হওয়ায় উৎক্ষেপণের একদিন পরই ৬ জুন নষ্ট হয়ে যায় ক্যাপসুলের পাঁচটি থ্রাস্টার। পরবর্তীতে চারটি থ্রাস্টার পুনরায় সক্রিয় করা হলেও এখন পর্যন্ত নভোচারীদের কোন ধরনের আশার বাণী শোনাতে পারেনি নাসা। তাদের ফিরিয়ে আনতে স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন মহাকাশযান ব্যবহার করার কথা ভাবছে প্রতিষ্ঠাটি। সেক্ষেত্রে মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীদের থাকতে হতে পারে আরও ছয় মাস। আর এতেই তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
নভোচারীদের পৃথিবীতে ফেরাতে স্পেস এক্সের মহাকাশযান ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হলেও, জনমনে প্রশ্ন এতোদিন কীভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে থাকবেন দুই নভোচারী?
নাসা জানিয়েছে, মহাকাশ স্টেশনে দুই নভোচারীকে সুস্থভাবে ও নিরাপদে বাঁচিয়ে রাখতে এরইমধ্যে তাদের জন্য পাঠানো হয়েছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, খাবার ও পরীক্ষা নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি। স্বাভাবিক রয়েছে অক্সিজেন সরবরাহ। উইলমোর এবং সুনিতা ছাড়াও চার মার্কিন এবং তিন রুশ নভোচারী রয়েছেন মহাকাশ স্টেশনে।
নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত হেলিকপ্টার পাইলট ছিলেন ৫৮ বছর বয়সী সুনিতা উইলিয়ামস। ৬১ বছরের উইলমোর একজন প্রাক্তন ফাইটার জেট পাইলট। যিনি এর আগেও আরও দুবার মহাকাশে গিয়েছেন। অভিজ্ঞতা রয়েছে মহাকাশ স্টেশনে কাজ করার।
তথ্য বলছে, শুধু সুনিতা ও উইলমোর নয়, ৯০ দশকে রাশিয়ার ভ্যালেরি পলিয়াকভ ৪৩৭ দিন ছিলেন মহাকাশ স্টেশনে । গেল বছর ৩৭১ দিন পর পৃথিবীতে ফেরেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশচারী ফ্রাঙ্ক রুবিও। আর আইএসএস স্টেশনে ১ হাজার দিনেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন রাশিয়ার ওগেল কোননেনকো।