নারী ক্রিকেটারদের হাত ধরে এসেছে দেশের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সাফল্য। সেই ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ের স্মৃতি এখনও উজ্জ্বল হয়ে আছে বিশ্ব ক্রিকেটে। এ জন্য বেতন বৃদ্ধি, ম্যাচ ফিসহ নানান সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে বিসিবি।
বোর্ডের চুক্তিতে থাকা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৪ জন ক্রিকেটারের বেতন বাড়ানো হয়েছে ২০ শতাংশ। তবে সেটা ২০২৩ সালে। নারী ক্রিকেট প্রধানের কাছে এবার তাই জানতে চাওয়া ছিল। সামনে আর কী পরিকল্পনা মেয়েদের আর্থিক সুযোগ সুবিধা নিয়ে।
বিসিবি নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, 'আগে যে জায়গাটায় ছিল, সেখান থেকে দেরিতে হলেও আজকে মোটামুটি একটা জায়গায় এসেছে। এই জায়গায় সেটা সীমাবদ্ধ থাকুক আমরা সেটা চাই না। প্রমিলা ক্রিকেটে তাদের বেতন প্রায় ৪০ ভাগ আমরা বাড়িয়েছি। নতুন বছরে আমরা আবার বোর্ডের কাছে প্রস্তাব দেবো।'
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দেশের নারীদের অবস্থান জানান দিলেও সাদা পোশাকে ২২ গজের লড়াইয়ে এখনও মাঠে নামার সুযোগ হয়নি ক্রিকেট কন্যাদের। বিশ্ব ক্রিকেটের পরাশক্তি দল ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত নারী ক্রিকেটারদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে অভিষেক হয়েছে আয়ারল্যান্ড ও নেদাররল্যান্ডস দলেরও। তবে ২০২১ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্ত বাংলাদেশের এখনও সূচনা হয়নি লাল বলে। কবে আসবে সেই ক্ষণ। বিসিবির ভাবনা কি?
নাদেল বলেন, 'একসঙ্গে চারদিনের খেলায় আমরা যেতে পারবো না। আমরা ধীরে ধীরে শুরু করেছি। এখন দুই দিনের ম্যাচ শুরু করেছি। ধীরে ধীরে আমরা ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট খেলবো।'
এদিকে অনেকদিন হয়ে গেলেও দেশের নারী ক্রিকেটারদের স্থায়ী মাঠের ব্যবস্থা করতে পারেনি বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। এ জন্য ঢাকা সিলেট, চট্টগ্রাম ও বগুড়ায় ঘুরে ঘুরে অনুশীলন করতে হয় মুরশিদা, জাহানারাদের। তবে এবার সে ঝামেলা থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা বোর্ডের।
বিসিবি নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান বলেন, 'সিলেটে আমাদের মেয়েদের জন্য নিজেদের ঘরোয়া একটা পরিবেশ ছিল। তারাও খুব কমফোর্ট ছিল। কিন্তু, বিভিন্ন টুর্নামেন্ট চলার কারণে সবসময় তাদের সিলেটে দেয়া যাচ্ছিল না। আমরা আশা করছি দ্রুতই একটা স্টেডিয়ামকে মেয়েদের জন্য নির্ধারিত করে নেবো।'
দেড় মাস পরই মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যতোটা জানা গেছে, জ্যোতিদের বিশ্বকাপ ক্যাম্প ঢাকার পর সিলেটে আয়োজন করার পরিকল্পনা ক্রিকেট বোর্ডের।