এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে প্রত্যেকটি ঘটনায় কারা জড়িত ছিল সেটি বের করে আনবে। সরকার সহিংসতার অপরাধে জড়িত প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনতে চায়।'
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বহু সরকারি স্থাপনায় দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। ছাত্রদের আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে এসব হামলা করেছে। এরইমধ্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে সব সত্য বের হয়ে আসবে।'
বিটিভিতে সংগঠিত সহিংসতা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বিটিভির ভেতরে পরিদর্শন করে মনে হয়েছে এটি একটি যুদ্ধক্ষেত্র। সহিংসতার সময় বিটিভির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভয়ার্ত কণ্ঠে ফোন করে তাদের জীবন রক্ষার জন্য অধিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পাঠাতে বলেছে। তাদের জীবন ভয়ানক ঝুঁকির মধ্যে ছিল। আপনারা আক্রমণের ধরণ দেখেছেন। তারা ভবনে প্রবেশ করে অগ্নিসংযোগ করেছে। আমরা পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি, কিন্তু তাদের গুলি করার নির্দেশনা ছিল না। কারণ সরকার অধিক সংঘর্ষ, হতাহত ও প্রাণহানি হোক সেটা চায়নি। এমনকি আমাদের সহকর্মীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে থাকা সত্ত্বেও অমরা চরম ধৈর্য দেখিয়েছি।'
তিনি বলেন, 'প্রত্যেকটি হতাহত ও প্রাণহানির ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক ও অপ্রত্যাশিত। এর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আমরা গভীর শোক প্রকাশ করছি। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে যাচ্ছিলাম। আমরা বারবার বলেছি রাজপথে ছাত্রদের যে দাবি, একই কারণে সরকার আদালতে লড়াই করছে। আমরা ছাত্রদের ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম এবং একটি ভালো ফলাফল আশা করছিলাম এবং তাদের আশাহত না হতে বলেছিলাম। চূড়ান্তভাবে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে সেটিই আপনারা দেখেছেন।'
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ টেলিভিশনে সাম্প্রতিক অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন।—সংবাদ বিজ্ঞপ্তি