কোরবানির ঈদের সময় খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৮২ টাকায়। এরপর দাম কিছুটা কমলেও গেল ৩ থেকে ৪ দিনে আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে নিত প্রয়োজনীয় এই মসলাটির বাজার দর। প্রতি কেজিতে দাম বেড়ে দেশী পেঁয়াজ আকার ও মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে সর্বোচ্চ ৯৫ টাকায়। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৫ টাকায়। টানা বৃষ্টিতে পরিবহন খরচ বাড়লেও পেঁয়াজ কম আসায় দাম বাড়ছে।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'আমাদের এগুলো সব পেঁয়াজ দেশি। আমাদের ব্যাপারী পাইকার যারা আছেন তারা যেখান থেকে পেঁয়াজ কেনে, সেখানেই মূলত দামটা বেড়ে যায়।'
অড়ৎদারদের দাবি মৌসুম শেষ হয়ে আসায় বাজারে দেশি পেয়াঁজের সরবরাহ কম। অন্যদিকে শুল্ককর ও পরিবহন খরচ মিলে লাভ না হওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজেরও আমদানি কম হচ্ছে। ফলে প্রায় প্রতিদিনই পেঁয়াজের মোকামে দাম বাড়ছে, বেড়ে যাচ্ছে পাইকারিতেও।
এদিকে খুচরা বাজারেও ১০ টাকা বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে হতাশ ক্রেতারা।
একজন ক্রেতা বলেন, 'পেঁয়াজ আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এই দাম আরও বাড়ছে। এখন দিন দিন যদি দাম আরও বাড়ে তাহলে আমরা তো আরও সমস্যায় পড়বো। সবকিছুর দাম বাড়ছে, শুধু মানুষের দাম বাড়ছে না।'
এদিকে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে পাইকারিতে রসুন ১৪৫ টাকা ও আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকায়। যা খুচরা বাজারে আরও বেশি দিয়ে বিক্রি হচ্ছে।