শুল্ক কমার পরও অস্থির চিনির বাজার। নানা অযুহাতে পণ্যটির দাম না কমে উল্টো আরও বেড়েছে। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে প্রতি মন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫৫০ টাকায়। যা গেলো ৪/৫ দিন আগেও ছিল অন্তত ২০০ টাকা কম। বাজারে অস্থিরতার জন্য অপর্যাপ্ত সরবরাহের কথা বলছেন আড়তদাররা। আবার কেউ বলছেন গুটি কয়েক প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীলতার কারণেই কারসাজির সুযোগ পাচ্ছে আমদানিকারকরা। তাই বাজারে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদেরও চিনি আমদানির সুযোগ তৈরির দাবি অনেকের।

সরবরাহ স্বাভাবিক থাকার পরও স্বস্তি নেই বরিশালের চালের বাজারে। এক থেকে দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরায় কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। আড়তদারদের দাবি, মিল মালিকরা দাম বাড়ানোর কারণে বাজার চড়া। এদিকে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষেরা।

রাজশাহীর বানেশ্বর বাজারে আম বেচাকেনায় প্রতিনিয়ত ঠকছেন কৃষক। আম বেচাকেনায় মানা হচ্ছে না ওজন ও পরিমাপের সঠিক মানদণ্ড। ঢলন পদ্ধতির চল থাকায় কৃষকের শ্রমে-ঘামে উৎপাদিত আম এক প্রকার লুটে নিচ্ছে ব্যাপারি ও আড়তদাররা। এমন বেচাকেনাকে রীতিমতো প্রতারণা বলছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

তিন দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বেড়েছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। ১২ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৫ টাকায়। আড়তদাররা বলছেন, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হয়ে আসায় সরবরাহ কমায় পেঁয়াজের বাজার চড়া। সেই সাথে প্রতিবেশি দেশ ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তি, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অতিরিক্ত শুল্ক। তাই আমদানি কম হওয়ায় দাম বাড়ছে। সরবরাহ না বাড়লে দাম আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা তাদের। তবে চাহিদা কমায় কমেছে রসুন ও আদার দাম।

ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুরে জৌলুস হারাতে বসেছে ইলিশ। প্রতিবছর সরকারি খাতায় উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও জেলেরা বলছেন, আগের মত ইলিশ উঠছে না জালে। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা হয়ে পড়ছে ইলিশ শূন্য। ইলিশের চাহিদা আর জোগানের বিপরীতে দাম ছুঁয়েছে আকাশ।

শরীয়তপুরের মিরাশার চাষীবাজারে ভরা মৌসুমে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টন পেঁয়াজ সরবরাহ হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এই বাজারে বিক্রি হয় তিন থেকে চার কোটি টাকার পেঁয়াজ।