আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২ দিন সিলেটে ও উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে সিলেটে নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইতোমধ্যে জেলার জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও গোয়াইনঘাট উপজেলার যেসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছিল সেসব এলাকা আবারও প্লাবিত হয়েছে। এর সঙ্গে নতুন করে বাড়ছে প্লাবিত এলাকা।
আজ (মঙ্গলবার, ২ জুলাই) সকাল থেকে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার অমলশিদ পয়েন্টে ৭১, শেওলা পয়েন্টে ২২, ফেঞ্চুগঞ্জে ৯৩ সে.মি উপর দিয়ে এবং জৈন্তাপুরে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ০৩ এবং গোয়াইন নদীর পানি ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে বাড়ছে কানাইঘাটে সুরমা ও গোয়াইনঘাটের সারিসহ সব নদ-নদীর পানি। লোকালয়ে প্রবেশ করে উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রত্যন্ত জনপদ আবারও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। নতুন করে প্লাবিত বাড়ি-ঘরের মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যাচ্ছেন। এছাড়া বিভিন্ন বাজার তলিয়ে পানি ঢুকেছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। এতে নতুন করে ক্ষতিতে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে সিলেটের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ২৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানায়, সিলেট মহানগর ও জেলার সদর ছাড়া বাকি ১২টি উপজেলায় ১ হাজার ১৩৪টি গ্রামের ৭ লাখ ৩৩৬ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছেন। এসব উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রে ৮ হাজার ৩০৮ জন মানুষ রয়েছেন। বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়া জেলা প্রশাসন ও প্রত্যেক উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে কন্ট্রোল স্থাপন করে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন করে বন্যার্ত অসুস্থ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।